পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৫৬-৬১ ] চাপাতলায় মাতুলেবি প্রথম বাসা “মহাপ্রভুব বাড়ী” ৫৭ তখন বিদ্যাসাগব মহাশয় সংস্কৃত কলেজে ইংবাজী শিক্ষণ প্রবর্ত্তিত কৰিয়াছিলেন ; তিনি আমাব বাবাকে, আমাকে হেয়াবন্ধুলে না দিয়া সংস্কৃত কলেজেই দিতে বলিলেন ; তদনুসাবে আমাকে সংস্কৃত কলেজে ভর্ত্তি কিবা চইল । চাপাতলায় মাতুলেবি প্রথম বাসা “মহাপ্রভুর বাড়ী” - আমাৰ মাতামহ হবচন্দ্র হ্যায়বস্ত্র মতাশায সে সমষে পীড়িত হইয়া স্বীয় গামেব বাড়ীতে বাস করিতেছিলেন। আমি কলিকাতায় আসিয়া চাপাতলা সিদ্ধেশ্ব*চন্দ্রেৰ লেনেব নিকটস্থ “মহাপ্রভুব বাড়ী” নামক এক বাড়ীতে মাতুল'ব বাসাতে বহিলাম। ঐ বাড়ীৰ বাহিবে নীচের তালাতে চৈ ৩ন্য ও নিত্যানন্দ দুইজনেৰ কাষ্ঠনির্ম্মিত দুই প্রকাণ্ড মূর্ত্তি ছিল। হবেকৃষ্ণ বাবাজা নামক এক বাবাজা ঐ বাডীব মালিক এবং ঐ উভয মূর্ত্তিব সেবক ছিলেন। (সচ বাড়ীব এক ঘবে একটী চিত্রকব থাকি৩েন, তিনি বাবুদেব ছবি আঁকিতেন। তাহাব ঘবে অনেক সুন্দৰ সুন্দৰ ছবি ছিল। আমি স্কুল হইতে আসিয়া তাহাব ঘবে অনেকক্ষণ থাকি তাম ; নিমগ্নচিত্তে ছবিগুলি দেখিতাম। আমাব ছবি দেখাব নেশা সেই অবধি অদ্য পর্যন্ত যায় নাই। আমাকে উৎকৃষ্ট উৎকৃষ্ট ছবিৰ মধ্যে বাখিয়া দিলে বোধ হয়। আহাব নিদ্রা ভুলিয়া ঘণ্টাব পর ঘণ্টা থাকিতে পাবি। আমবা বাড়ীব্য ভিতব উপবীতলায় থাকিতাম। সেই উপবীতলায় একপার্শ্বে আমাব মাতুলগ্রামেব আব্ব-কয়েকটি ভদ্রলোক থাকিতেন। তাহাবা আমাকে বড় ভালবাসিতেন। সে পুরুষেব বাসা, সমস্ত দিনের মধ্যে একটি মেয়েমানুষেৰ মুখ দেখিতে পাইতাম না। স্বসম্পৰ্কীয় ও স্ত্রগ্রামেব অনেকগুলি যুবকৰ্কে আমাৰ মাতুল অন্ন দিতেন ; তঁাহারা সকলে ঐ বাসাতে থাকিতেন। এক একটী ভীষণাকৃতি মর্দ ; কেহ দেড় কুনিক, কেহ দুই কুনিক চাউলের ভাত খায়। কেহ পড়ে, কেহ বা