পাতা:আত্মজীবনী ও স্মৃতি-তর্পন - জলধর সেন.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

आशयौवनी (3 डि-उत्र y 5*fai fef, E. B. S. R.-43 loading unloading-43 Isisfits & ইতিপূর্বে রেলওয়ে লাইন নির্মাণের কণ্টাক্টরী করায় তার যথেষ্ট সুনাম ও অর্থাগম হয় এবং সেই সূত্রেই তিনি এই বৃহৎ কণ্টাক্ট লাভ করেন। এই কণ্টাক্ট কার্য উপলক্ষ্যে তঁহাকে প্রতি মাসেই ১০ । ১৫ দিন গোয়ালন্দে থাকতে হ’ত । তারই বাসায় আমরা থাকতাম । একদিন সকালে আমরা তঁর বাসার পরিন্দায় বসেছিলাম, তিনিও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এমন সময়ে একজন পশ্চিমদেশী মুসলমান সেখানে উপস্থিত। হ’ল। তার পোষাকপরিচ্ছদ ভদ্রলোকের মত। মাথায় প্রকাণ্ড টুপী, পরিধানে পায়জামা ও চাপাকান, পায়ে নাগরা জুতা, হাতে একটা ক্যাম্বিসের ব্যােগ । সেই লোকটি এসে ঠাকুরদার কাছে যে আত্মপরিচয় দিল, তার সারমর্ম এই যে, সে লক্ষ্মেী এর রাহনেওয়ালা এবং সেখানকার একজন নামজাদা হোিকম । দেশভ্রমণে বাহির হয়েছে। গোয়ালন্দ স্থানটি অতি মনোহর, এখানে দিনকতক অবস্থিতি করবে, তারপর পূর্ববঙ্গে চলে’ যাবে। তার এই কথা শুনে” ঠাকুরদা। তা’কে খুব খাতির করে” বসবার আসন দিলেন এবং দিল্পী, লাহোর, লক্ষ্মেী প্রভৃতির গল্প জুড়ে' দিলেন। কথাপ্রসঙ্গে ঠাকুরদা বললেন, হেকিম সাহেব, আমার এই নাতিটির একটা কঠিন রোগ হয়েছে আপনি কৃপা করে’। যদি পরীক্ষা করেন, তবে বড় ভাল হয়। এই বলে’ তিনি আমার চোখের রোগের বিবরণ আনুপূর্বিক বর্ণনা করলেন। সমস্ত কথা শুনে হেকিম সাহেব আমাকে তঁর কাছে ডেকে বসালেন এবং অনেকক্ষণ ধরে” চোখ পরীক্ষা করে’ বললেন-এ ব্যাধি অতি সামান্য, আমি স্মৃতি সহজে আরাম করে দিতে পারব। ওষুধপত্র কিছু দিতে হ’বে না, শুধু চোখে অস্ত্র করতে হবে। অস্ত্র করার কথা শুনেই ঠাকুরদা ভীত হলেন। বললেন, চােখে অস্ত্র করতে দিতে সাহস হয় না, এখন তবুও ছ'মাস দেখতে পায়, অস্ত্র করে শেষে তাও পাবে না। হেকিম সাহেব বললেন, চােখের ভেতরে অস্ত্র করা হবে না, বাইরে চোখের পাতার পাশে সামান্য একটু ছিদ্র করে' দিতে হবে, চােখে কোনই আঘাত লাগবে না। কথা শেষ কবে? তিনি তঁর ব্যাগ খুলে অনেকগুলি কাগজ বার করলেন। সেগুলি র্তার সার্টিফিকেট । কয়েকখানা ইংরেজিতে লেখা, কয়েকখানা হিন্দী, কয়েকখানা উদু। ঠাকুরদা। হিন্দী ও উর্দু জানতেন, ইংরেজি জানতেন না। ইংরেজি সার্টিফিকেটগুলো আমার বড় দাদা তৰ্জমা করে, সকলকে বুঝিয়ে দিলেন। হিন্দী ও উর্দু প্রশংসাপত্রগুলি ঠাকুরদাদা পড়ে শুনালেন। R