পাতা:আত্মজীবনী ও স্মৃতি-তর্পন - জলধর সেন.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 আত্মজীবনী ও স্মৃতি-তৰ্পণু পূর্বেই বলেছি, আমাদের গ্রামের অনেক বড় মানুষের কলকাতায় আড়ত আছে। তাদের দ্বারস্থ হয়ে যখন দু’বেলা দু’মুঠি অন্নের সংস্থান কলকাতায় করতে পারলাম না, তখন কলকাতায় গিয়ে দু’চার দিনের জন্যেও তাদের দ্বারস্থ হ’তে আমার মত দীন দরিদ্রেরও কুণ্ঠ বোধ হো’’ল। তাই বাড়ী থেকে বেরুবার পূর্বেই আমার এক পুরাতন বন্ধুর কথা মনে হোল। গোয়ালন্দে আমি তার সঙ্গে পড়েছিলাম, একসঙ্গেই মাইনর পাশ করেছিলাম। তার সহায়তায় নির্ভর করেই ৫ টাকা বৃত্তি সম্বল কে’রে ফরিদপুর জেলা স্কুলে পড়তে গিয়েছিলাম। তার নাম দক্ষিণারঞ্জন সেন, তিনি তখনকার গোয়ালন্দের খ্যাতনামা উকিল উমেশচন্দ্র সেনের একমাত্র পুত্র। আমি ফরিদপুর ছেড়ে দেশের স্কুলে চলে এলাম, দক্ষিণা ফরিদপুরেই পড়তে লাগলো। আমি যে বছরে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিলাম, দক্ষিণাও সেই বছরে ফরিদপুর জেলা স্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়ে পাশ হয়েছিল এবং কলকাতায় এক মেসে থেকে মেট্রোপলিটান ইনষ্টিটিউসনে (অধুনা বিদ্যাসাগর কলেজে) প্রবেশ করেছিল। কলেজে ভর্ত্তি হয়েই, তিনি আমাকে পত্র লিখেছিলেন । সেই পত্রে তার ঠিকানা ছিল, নয়ানটাব্দ দত্তের স্ট্রীট। বাড়ীটার কথা মনে আছে কিন্তু নম্বর মনে নেই। আমি বাড়ী গিয়ে দক্ষিণাকে লিখলুম, আমি অমুক দিন কলকাতায় যাচ্ছি। এঞ্জিনিয়ারিং কলেজে আর পড়া হো’’ল না, আমি এল এ পড়বো । কলকাতায় আমার অন্য পরিচিত থাকলেও, আমি দু’এক দিনের জন্যে তার আতিথ্য গ্রহণ করবো। সে যেন নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময়ে শিয়ালদহ ষ্টেশনে আসে । যথাসময়ে শিয়ালদহ ষ্টেশনে নেমে দেখি দক্ষিণা আমার জন্যে অপেক্ষা করছে। আমি যে এঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়বার ইচ্ছা ত্যাগ করেছি, সেজন্য সে খুব ধন্যবাদ করলে। সে রাত্রি তার বাসায় কাটালাম। তার পরেও দু’দিন তার বাসায় যত্নে ও আদরে ছিলাম। এইখানেই আমার পরম বন্ধু দক্ষিণারঞ্জনের কথা শেষ করতে চাই । কলেজে প্রবেশ করলাম। বৃত্তি পেয়েছিলাম বলে প্রবেশিকায় ফী দিতে হল না। মাইনেও ছয় টাকার জায়গায় পাঁচ টাকা হল। হাটখোলায় বন্ধুত্ব BiBTB DBKL DSBBD SS DDDBDS DDB DBDDBD DDD EB BBD tBD তিন টাকা দেওয়া স্থির হয়ে গেল। আড়তের কর্তা রামলালবাবু বলেন-বুঝলে জলধর, ও তিনটে টাকা আর তোমাকে দিতে হবে না। আমরাই মাসে মাসে