পাতা:আত্মজ্ঞান - স্বামী অভেদানন্দ.pdf/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
আত্মা ও অমরত্ব
১৭৫

সর্ব্বততভাবে বুঝিতে পারি; একমাত্র আত্মজ্ঞানের সাহায্যেই এই বিশ্বের উৎপত্তি, স্থিতি ও লয় সম্বন্ধে সমস্ত রহস্যই ভেদ হয়। যিনি আত্মদর্শন করিয়াছেন তিনি প্রলয়কালে জাগতিক বস্তু সমূহের কি হইবে তাহা পরিস্ফুটভাবে বুঝিতে পারেন। অমরত্ব লাভ করিতে ইচ্ছুক হইলে এই ‘আত্মাকে জানিতে হইবে; ইহা ব্যতীত আর অন্য কোনও উপায় নাই। আত্মজ্ঞান লাভ করিয়া বৈদিক যুগের ঋষি বলিয়াছেন - “অজ্ঞানান্ধকারের পারে অবস্থিত স্বয়ংপ্রকাশ সুর্য্যের স্যায় দীপ্তিমান্ মহান্ আত্মাকে আমি জানিয়াছি; একমাত্র তাহাকে জানিলেই মৃত্যুসাগর উত্তীর্ণ হইতে পারা যায়। এতদ্ব্যতীত অন্য কোন পন্থা নাই; অন্য কোন পন্থা নাই।” “বেদাহমত পুরুষং মহাত, আদিত্যব তম পর। মেব বিদিঘাইতিমূত্যুমেতি, নাঃ পন্থা বিগতোনায়। -খেতাশ্বেতর উপনিষৎ-৩৮