পাতা:আত্মবোধ.djvu/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२१ অগত্ববোধ । গের জীবের পূর্বকর্ম্ম স্বীকার না করাতেই ঈশ্বর স্বীকার না করা প্রতীতি হইতেছে, যেহেতু ঈশ্বর সর্বাসামর্থ্যমত্তাহেতু পূর্ণ, এনিমিত্ত সর্ব্ব নিরপেক্ষৰূপে পরম মুখবিশিষ্ট, কারণ যাহার কোন বিষয়ে অপেক্ষু না থাকে তাহাকেই পূর্ণ ও পরমসুখী বলা যায়, অপেক্ষ সত্ত্বে তাহা কদাপি বলা যাইতে পারে না। তবে তাহার র্যাহাকে ঈশ্বর বলেন তিনি পূর্ণ হইয়া কি অপেক্ষায় নুতন জীবসমূহ স্বষ্টি করিলেন এবং কেনইবা সর্ব্বত্র সম হইয় তাহাদিগের মধ্যে কায়াকে সুখী কাহাকে দুঃখী এই ৰূপ বিষম কর্ম্ম করিলেন । অপর প্রস্তাবিত ব্যক্তির যদ্যপি পরমেশ্বরের পূর্ণতাতেও অস্বীকৃত হয়েন তবে র্তাহার সর্বসমর্থতার অভাবহেতু সুতরাং ঈশ্বরত্বেরও অভাব হইবে। অপিচ ঈশিতা শক্তিমানকে ঈশ্বর বলি যদ্যপি স্বষ্টির পূর্ব্বে কেহই ঈশিতব্য ছিল না তবে ঠাহার ঈশ্বরত্বও ছিল না ইহা কেন না বলা যাইবে । অতএব ঈশ্বর পদার্থ যেৰূপ নিত্য সেইরূপ জীবসমুহও নিত্য ইহা ন। বলিলে নবীন রাজ্য প্রাপ্ত ব্যক্তির রাজত্বের পূর্ব্বেতাহাফে লাভের রাজ বল অযোগ্যের ন্যায় স্বষ্টির পূর্ব্বে তৎকর্ত্তাকে ঈশ্বর বলাও যোগ্য হয় না। আমরা ঈশ্বরের ন্যায় জীবেরও অনাদিত্ব স্বীকার করিয়া তাহাদিগের অনাদি শুভাশুভ কর্ম্মাধীন উচ্চ নীচ ভাব প্রাপ্তি অভিধান করি । ইহা হইলে ঈশ্বরের অপূর্ণতা বা বিষমতা কিছুমাত্র সম্ভব হয় না। স্বতঃ পূর্ণব্যক্তি পরানুরোধে কার্য্য করিলে তাহাকে কখনই অপূর্ণ বলা যায় না। অতএব হে পাঠকগণ আপনার তাদৃশ ছদ্ম নাস্তিকের মতে নিষ্ঠীবন পুর্ব্বক স্বজাতীয় সনাতন শাস্ত্রে সমাদর প্রকাশ করুন ] ১১ ! 4