বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:আদরিণী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তৃতীয় পরিচ্ছেদ।
১৩

থাকিলে ও এ অম্বিকাচরণ যে, জাল অস্বিকাচরণ তাহা অবশ্যই বুঝিতে পারেন; তাহা না হইলে ধার্য্য দিনে অবশ্যই তাঁহাকে হাজির দেখিতেন। অনুসন্ধানে হাকিম বুঝিতে পারলেন যে, প্রথমে সমন তিনকড়ির উপর জারি না করাইয়া কোন দুষ্ট লোক দুরভিসন্ধি সাধনের নিমিত্ত ইহার নামে মিথ্যা ডিক্রী করিয়াছে ও ইহাকে জেলে দিয়া আপন কোন মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করিয়াছে; ইহা শঠের শঠতা ভিন্ন আর কিছুই নহে। হাকিম তিনকড়িকে ছাড়িয়া দিলেন, সে ঈশ্বরের নিকট এই উদারতা সাহেবের মঙ্গল প্রার্থনা করতে করিতে প্রস্থান করিল, কিন্তু কোথায় গেল কেহই বলতে পারিল না।

 মান্যবর জজ বীবী সাহেব অতিশয় সুচতুর, বিবেচক বুদ্ধিমান ও দয়ালু হকিম; তিনি মনে মনে বিবেচন করলেন, যদি এ প্রকার গর্হিত কার্য্যের বিশেষ প্রতিবিধানের কোন উপায় না করা হয় তাহা হইলে অরাজক হবে, সম্মানি ব্যক্তি অসম্মানিত হইবে, দুষ্ট লোকেরা শত শত লোকের যথাসর্ব্বস্ব বিক্রয় করিয়া লইয়া যাকে তাকে পথের ভিকারী করিবে, দিন দিন শত শত তিনকড়ি বিনা দোষে কারাগারে প্রেরিত হইবে। অতএব যাহাতে এরূপ জুয়াচুরী আর না হইতে পারে, ও দোষীগণ ধৃত হইয়া রাজদ্বারে সমুচিত