পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

आमभ श्न्क्रिी-शटछैज G চাণ্ডুলির হিসাব মিটানো। রাত একটার। এদিকে শইবার অবসর পাওয়া যায় মুগ্ধ দ-দন্ড বসিয়া ভাবিবার সময় কই ? * চাণী নদীর ধারের জায়গাটি বেশ ভাল লাগে। ও-পারে শান্তিপাের যাইবার কাঁচা সড়ক। খেয়া নৌকায় লোকজন হইতেছে। গ্রামের বাঁশবন, শিমল গাছ, মাঠ, কলাই ক্ষেত, গাবভেরেন্ডার বেড়া-ঘেরা গহস্থ-বাড়ী। হাজারি ঠাকুর একটা বিড়ি ধরাইয়া ভাবিতে আরম্ভ করে। আজ পাঁচ বছর হইয়া গেল বেচু চক্কত্তির হোটেলে। প্রথম যেদিন রাণাঘাট আসিয়া হোটেলে ঢোকে, সে-কথা আজও মনে হয়। গ্যাংনাপাের হইতে রাণাঘাট আসিয়া সে প্রথমেই গেল বেচু চক্কত্তির হোটেলে কাজের সন্ধানে। কতা সামনেই বসিয়াছিলেন। বলিলেন-কি চাই ? হাজারি বলিল-আজ্ঞে বােব, রসয়ে-বামনের কাজ করি। কাজের চেষ্টীয় ঘরছি, বাবর হোটেলে কাজ আছে ? —তোমার নাম কি ? --আজ্ঞে, হাজারি দেবশমা, উপাধি চক্রবতী । এইভাবে নাম বলিতে হাজারির পিতাঠাকুর তাহাকে শিখাইয়া দিয়াছিলেন। --বাড়ী কোথায় ? -গাংনাপাের ইন্টিশানে নেমে যেতে হয় এড়োশোলা গ্রামে। --রাঁধতে জানো ? —বাব, একদিন রাঁধিয়ে দেখান। মাংস মাছ, যা দেবেন। সব পারবো। -আচ্ছা, তিনদিন এমনি রাঁধতে হবে-তারপর সাত টাকা মাইনে দেবো। আর খেতে পাবে। রাজি থাকো আজই কাজে লেগে যাও! সেই হইতে আজ পর্যন্ত সাত টাকার এক পয়সা মাহিনা বাড়ে নাই। অথচ খন্দের বাবরা সকলেই তাহার রান্নার সংখ্যাতি করে, যদিচ পর্ম্ম ঝিয়ের মখে একটা সংখ্যাতির কথাও সে কখনো শোনে নাই, ভালো কথা তো দারের