পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS 8 আদশ হিন্দী-হোটেল তারপর সে ঘরের ভিতর হইতে পাখা আনিয়া বাতাস করিতে বসিয়া গেল। হাজারির মনে হইল তাহার সারা দেহ-মন জড়াইয়া গেল টোপির হাতের পাখার বাতাসে। টেপির জন্য খাটিয়া সখে-যত কািট যত দঃখ রাণাঘাট হোটেলের-সব সে সহ্য করিয়াছে টেপির জন্য। ভবিষ্যতে আরও করবে। যদি বংশীধর ঠাকুরের ভাগিনেয়। সেই ছেলেটির সঙ্গেযাক সে সব কথা। টেপি বলিল-বাবা, অতসী দিদি একদিন তোমার কথা বলছিল-আমার কথা ? হরিচরণবাবর মেয়ে ? -হ্যাঁ বাবা, বলছিল তুমি অনেকদিন আসো নি। চল না। আজ যাবে? ওখানে গিয়ে চা খাবে এখন। কলের গান শানবে। এই সময় টেপির মা ঘাট হইতে গা ধাইয়া বাড়ী ফিরিল। হাসিমখে বলিল-কখন এলে ? হাজারি বলিল-এই তো খানিকক্ষণ। ভাল তো সব ? টাকা CPigशीछटुक्न ? S -হ্যাঁ। ভাল কথা, ওদের বাড়ীর সতীশ বলছিল রাণাঘাট থেকে পাঠানো নয় টাকা। তুমি এর মধ্যে কোথাও গিয়েছিলে নাকি ? --রাণাঘাটের চাকরী করিনে তো। এখন আছি গোপালনগরে। বেশ ভাল জায়গায় আছি, বৰঝলে ? গন্ধবণিকের বাড়ী, ব্রাহ্মণ বলে ভক্তিছেদা খব। খাওয়া-দাওয়া ভাল। কাপড়ের মস্ত দোকান, দিব্যি জলখাবার দেয় সকালে বিকেলে। টেপি বলিল-কি জলখাবার দেয়। বাবা! ---এই ধরো কোনদিন মাড়ি নারকেল, কোনদিন হালয়া। টেপির মা বলিল-বোসো, জিরোও ; চা নেই, তা হোলে করে দিতাম! টোপি, যাবি মা, সতীশদের বাড়ী চা আছে-(এই কথা বলিবার সময় টেপির মা ভুর দটি উপরের দিকে তুলিয়া এমন একটি ভঙ্গি করিল, যাহা শািন্ধ নিবোধ মেয়েরা করিয়া থাকে)-দটো চেয়ে নিয়ে আয়।