পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSRO আদশ হিন্দী-হোটেল হাজারির চোখে জল আসিল । এ পর্যন্ত তিনটি মেয়ে তাহার জীবনে আসিল, যাহারা সম্পণে নিঃসবার্থভাবে তাহাকে উচ্চাশার পথে ঠেলিয়া দিতে চাহিয়াছো-তিনজনেই সমান সরলা, তিনজনেই অনাত্মীয়া-তবে অতসী জমিদার বাড়ীর সন্দরী, শিক্ষিতা মেয়ে, সে যে এতখানি টান টানিবে ইহা সক্ষপণ অপ্রত্যাশিত ধরনের আশচয ঘটনা ! হাজারি বলিল-কিন্তু তুমি একথা শনলে কোথায় বলতে হবে মা। অতসী হাসিয়া বলিল-সে কথা বলবো না বলেছি তো। --তা হোলে টাকাও নেবো না। আগে বলো কে বলেছে ? -আচ্ছা, নাম করলে তাকে কিছু বলবেন না বলান-কাকে কি বলবো বর্ব্বতে পারছি নে তো ? বলাবলির কথা কি আছে এর মধ্যে ? আচ্ছা, বলবো না। বলো তুমি। —টেপি বলেছিল, বাবার ইচ্ছে একটা হােটেল খোলেন, আমার বাবার কাছে নাকি টাকা চেয়েছিলেন ধার-তা। বাবা দিতে পারেন নি। দেখােন কাকাবাব, দাদা মারা যাওয়ার পরে বাবার মন খাব খারাপ। ওঁকে বল্লা না বলা দই সমান। আমি ভাবলাম আমার হাতে তো টকা আছে-কাকাবাবকে দিই গো-ওদের উপকার হবে। আমার কাছে তো এমনই পড়েই আছে। আপনার হোটেল নিশ্চয়ই খব ভাল চলবে, আপনারা বড়লোেক হয়ে যাবেন। টেপিকে আমি বড় ভালবাসি, ওর মনে যদি আহমাদ হয়। আমার তাতে তৃপিত। টাকা বাক্সে তুলে রেখে কি হবে ? --মা, তোমার টাকা তোমার বাবাকে না জানিয়ে আমি নিতে পারি নে। অতসী যেন বড় দমিয়া গেল। হাজারির সঙ্গে সে অনেকক্ষণ ছেলেমানষি তক করিল বাবাকে না জানাইয়া টকা লইলে দোষ কি! * শেষে বলিল-আমি টেপিকে এ টাকা দিচ্ছি। --তা তুমি দিতে পারো না। তুমি ছেলেমানষে, টার্কা দেওয়ার অধিকার তোমার নেই মা। তুমি তো লেখাপড়া জানো, ভেবে দেখ। ASSiDBS BD DLD BDE BB D SDDBL