পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vyn", হিন্দী-হোটেল SS চারিন্ধি ব্রাহ্মণ-বিধবা থাকিতেন, তখন হাজারির বয়স নয়-দশ বছর। রান্নায় iধ সাধারণ ধরনের সংখ্যাতি নয়, অসাধারণ ধরনের সনামও ছিল। ঐ বাহিরেও অনেক জায়গায় লোকে তাঁর নাম জানিত। হাজারির মা তাঁকে বলিল-খািড়ীমা, আপনার তো বয়স হয়েছে, কবে চলে যাবেন-আপনার গণ আমাকে দিয়ে যান। চিরকাল আপনার তিনি বলেন-আচ্ছা তোকে বৌ একটা জিনিস দিয়ে যাবো। কি ক’রে নিরিামিষ চচ্চড়ি রাঁধতে হয় সেটাই তোকে দিয়ে যাবো। সেই বন্ধা হাজারির মাকে ওই একটিমাত্র জিনিস শিখাইয়াছিলেন। এবং সেই একটি জিনিস রধিবার গণেই, হাজারির মায়ের নাম ও-দিকের আট-দশখানা গ্রামে প্রসিদ্ধ ছিল। শনিতে অতি সামান্য জিনিস-নিরিমিষ চচ্চড়ি-ওর মধ্যে আছে কি ? কিন্তু এ-কথার জবাব পাইতে হইলে হাজারির মায়ের হাতের নিরিামিষ চচ্চড়ি খাইতে হয়। দঃখের বিষয় তিনি আর বাঁচিয়া নাই, ও-বৎসর দেহ রাখিয়াছেন। DBBDD DBDBBBD S DBBSBDDBDBD S SDDDDBBBDD DBBDB DDDBY মাংস, মাছ সবই রাঁধে ভাল-কিন্তু তার হাতের নিরিামিষ চচ্চড়ি এত চমৎকার যে, বেচু চক্কত্তির হোটেলে একবার যে খাইয়া যায়, সে আবার ঘরিয়া সেখানেই আসে। রেল-বাজারে তো অতগলো হোটেল রহিয়াছে-সে। আর কোথাও ফাইবে না। আজও মাংস রান্না রধিবার ভার তাহারই উপর পড়িল। খমেদাররা মাংস খাইয়া তারিফও করিতে লাগিল। কিন্তু আসলে তাঁহাতে হাজারির ব্যক্তিগত লাভ বিশেষ কিছই নাই-খন্দেরের মাখের প্রশংসা ছাড়া। পদ্ম ঝি তাহাকে একটা উৎসাহের কথাও বলিল না। বেচু চক্কত্তিও তাই। অনেক রাত্রে সে খাইতে বসিলা। এত যে ভাল করিয়া নিজের হাতে রান্না মাংস, তাহার নিজের জন্য তখন আর কিছই নাই। যাহা ছিল, fকতাবাব নিজের বাসায় পাঠাইয়া দিয়াছেন। তার পরেও সামান্য কিছ যা অবশিষ্ট ছিল, পলম ঝি চাটিয়া-পাটিয়া লইয়া গিয়াছে।