পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2SእO जाभ छिन्न-दशीछेण নিয়ে আর ওকে নিয়ে একবার টকি দেখিয়ে আনার কথা-তা আপনি কি ঘলেন ? টেপিই যে একথা তাহার কাছে বলিতে নরেনকে অন্যুরোধ করিয়াছে, এ-বিষয়ে হাজারির সন্দেহ রহিল না। তাহার মনে কৌতুক ও আনন্দ দই-ই দেখা দিল। ছেলেমানষে সব, উহারা কি করে না-করে বয়োবদ্ধ লোকে সব বঝিতে পারে, অথচ বেচারীরা ভাবে তাহদের মনের খবর কেহ। কিছ রাখে না। সে ব্যস্ত হইয়া বলিল-তা যাবে যাও না ? আজই যাবে ? পয়সাকড়ি সব তোমার মামীমার কাছে আছে, চেয়ে নাও। কখন ফিরবে ? --রাত আটটা হবে মামাবাব-আপনি নিজে ইন্টিশানে যদি গিয়ে বসেন একট --আচ্ছা তা হোক, ইন্টিশনে আমি যাব এখন, সে তুমি ভেবো না। তুমি ওদের নিয়ে যাও-ও টোপি, ডেকে দে তোর মাকে। অবেলায় পড়ে ঘামাচে, ডেকে দে। যাস যদি তবে সব তৈরী হয়ে নৌ হাজারি। আর বিলম্ব না করিয়া বাড়ীর বাহির হইয়া পড়িল। বালকবালিকাদের আমোদের পথে সে বিঘা সমিষ্ট করিতে চায় না। প্রথমে বাজারের হোটেলে আসিয়া এ-বেলার রান্নার সব ব্যবস্থা করিয়া দিয়া বেলা পড়িলে সে আসিল সেন্টশন পাল্যাটফমের হোটেলে। এখানে সে বড় একটা বসে না। নরেনই এখানকার ম্যানেজার। এসব সাহেব ধরনের ব্যবস্থা তাহার যেন कe it সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা। চাটগাঁ মেল আসিবার বেশী বিলম্ব নাইবনগ্রামের গাড়ীও এখনি ছাড়িবে। এই সময় হইতে রাত্রি সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ, ঢাকা মেল, নর্থ বেগুগল এক্সপ্রেস প্রভৃতি বড় বড় দরের ট্রেনগালির ভিড়। যাত্রীরা যাতায়াত করে বহ, অনেকেই খায়। হাজারির আশা ছাড়িয়া গিয়াছে এখানকার খারিন্দারের সংখ্যা। স্টেশনের হোটেলে দ’জন নািতন লোক রান্না করে। এখানে বেশীর ভাগ লোকে চায় ভােত আর মাংস-সেজন্য ভাল মাংস রান্না করিতে পারে