পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSR আদশ হিন্দী-হোটেল এ বয়সে ? লণ্ডকার বাটনা হয়নি-পরানো লঙ্কা, তাতেই রং হয়নি। রং হবে শািন্ধ লঙ্কার গণে। —ক’তা মশাই, সাধে কি আপনার পায়ের ধলো মাথায় নিতে ইচ্ছে করে ? কিন্তু আর একটা দোষ হয়েছে সেটাও ধরন। হাজারি তীক্ষা দন্টিতে মাংসের কড়ার দিকে কিছদক্ষণ চাহিয়া বলিল-কষ্যমাংসে যে গরম জল ঢেলেছিলেন, তা ভাল ফোটেনি। সেই জন্যে গ্যাঁজ উঠেছে। ওতে মাংস জঠর হয়ে যাবে। DBuDuBuuB BDBDDB BBB DB DDBD DDDYBuBDD DDuDuBDBS BB আমি বলছিলাম না তোমায় জল ঢালবার সময় যে এতে গ্যাজ উঠেছে আর মাংস নরম হবে না! আর কতামশায় না দেখে কি করে বঝে ফেলেচেন, a ওস্তাদ বটে। আপনি কর্তৃ। হাজারি হাসিয়া কি একটা বলিতে যাইতেছিল, এমন সময় চট্টগ্রাম মেল আসিয়া সশব্দে পাল্যাটফর্মে ঢাকিতেই কথার সত্র ছিড়িয়া গেল! হোটেলের লোকজন অন্যদিকে ব্যস্ত হইয়া পড়িল। বেশ ভালো ঘর। বিজলী আলো জবলিতেছে। মাবেল পাথরের টেবিলে বাব খারিন্দারেরা খাইতেছে চেয়ারে বসিয়া। ভীষণ ভিড় খারিন্দাবের -ওদিকে বনগাঁ লাইনের ট্রেনও আসিয়া দাঁড়াইয়াছে। কলরব, হৈ-চৈ, ব্যস্ততা, পয়সা গণিয়া কল করা যায় না-এই ত জীবন। বেচু চক্কত্তির হোটেলের রান্নাঘরে বসিয়া হাতাবেড়ি নাড়িতে নাড়িতে এই রকম একটা হোটেলের কল্পনা করিতে সে কিন্তু কখনও সাহস করে নাই। এত সখিও তার অদগেট ছিল! পদ্মদিদির কত অপমান আজ সার্থক হইয়াছে এই অপ্রত্যাশিত কমব্যস্ত হোটেল-জীবনের মধ্যে। আজ কাহারও প্রতি তাহার কোন বিদ্বেষ নাই। 森 হঠাৎ হাজারির মনে পড়িল চাকদহ হইতে হাঁটাপথে গোপালনগরে যাইবার সময় সেই ছোট্ট গ্রামের গোয়ালাদের বাড়ীর বন্ধটির কথা। হাজারি তাহাকে কথা দিয়াছিল। তাহার টাকা হাজারি ব্যবসায়ে খাটাইয়া দিবে। সে কাল যাইবে। গরীব মেয়েটির টাকা খাটাইবার এই ভাল ক্ষেত্র। বিশবাস