পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাদশ হিন্দী-হোঢ়েল ܬܬܬ —যাইবার পাবে বৌটি হাজারির নিকট একশত টাকা গণিয়া দিল। হাজারি রাণাঘাট হইতে একখানা হ্যান্ডনেট একেবারে টিকিট মারিযা অনিসছিল, কেবল টাকার অঙকটি বসাইয়া নাম সই কািরয়া দিল। হাজারির অত্যন্ত মাযা হইল মেয়েটির উপর। যাইবার সময় সে ঘাল বার বলিল-এবার যখন আসবো, সহরা ঘরিয়ে নিয়ে আসবো কিন্তু মনে থাকে যেন মা। --গোপালনগর । • -যেখানে বল তুমি। -আবার কবে আসবেন ? --দেখি, এবার হয়তো বেশী দেরী হবে না। এখােন হইতে নিকটেই বেলের বাজার-ক্লোশ দইয়েব মধ্যে। হাজারির অত্যন্ত ইচ্ছা হইল বেলের বাজারে সেবার যে মদীর দোকানে আশ্রয় লইয়ঃছিল, তাহার সহিত একবার দেখা করে। জ্যোৎস্পনা রাত আছে, শেষ রাত্রের দিকে বেলের বাজাব হইতে বাহির হইলেও বোলা আটটার মধ্যে রাণাঘাট পৌছানো যাইবে। বেঁলের বাজারের মন্দী হাজারিকে দেখিয়া চিনিল। খািল যত্ন করিয়া থাকিবার জায়গা করিয়া দিল। তামাক সাজিয়া ব্রাহ্মণেব হ:কায় জল স্ক্রিাইসা হাজারির হাতে দিয়া বলিল-ইচ্ছে করুন ঠাকুর মশাম। তা এখন আপনার কি করা হয় ? সেবার তো চাকুরীর চেস্টীয় বেরিয়েছিলেন -হ্যাঁ সেবার তো চাকুরী পেয়েওছিলাম-গোপালনগরে কুডুবাবদেল दाgी। -ও !! তা বেশ বেশী। গোপালনগরের কুডুবাবরা এ দিগেব মধ্যে নাম-কক্কা বড়লোক। লোকও তেনারা শানিছি বড় ভাল। কত মাইনে দেয় ঠাকুরমশাই ? --তা দিত দশ টাকা আর খাওয়া-পরা। -ছটি নিয়ে বাড়ী গিয়েছিলেন বঝি ? এখন গোপালনগরেই যাবেন তো ? --না। আমি আর সেখানে নেই।