পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদর্শ হিন্দী-হোটেল ROS পরদিন সকালে হাজারি দোকানীর নিকট বিদায় লইল বটে, किन्ठू রাণাঘাট না আসিয়া হাঁটাপথে গোপালনগর চলিল। তাহার পরানাে মনিবাড়ী, সেখানে তাহার একটা কাপড়ের পাটলি আজও পড়িয়া মাছে-আনি আনি করিয়া আনা আর হইয়া উঠে নাই। পথে বেলা চড়িল । 州然 পথের ধারে বনজঙ্গলে ঘেরা ছোট্ট পাকুরটি দেখিয়া হাজারির মনে পড়িল ইহারই কাছে সেই শ্রীনগর সিমলে গ্রাম। হাজারি গ্রামের মধ্যে ঢাকিল, তাহার বড় ইচ্ছা হইল সেবাব যাঁহার বাড়ীতে আশ্রয় লইয়াছিল, সেই ভদ্রলোকের সঙ্গে দেখা করিয়া। তবে যাইবে। অনেক দিন পরে যখন এ পথে আসিয়াছে, তখন তাঁহার সংবাদ লওয়াটা দরকার বটে। বিহারী বাঁড়িয্যে মশায় বাড়ীতেই ছিলেন। এই দই বৎসরে তাঁহান চেহারা আরও ম্যালেরিয়াশীর্ণ হইয়া পড়িয়াছে, মাথার চুল সবগলি পাকিয়া গিয়াছে, সম্পমাখের দ-একটি দাঁত পড়িয়াছে। বড়িয্যোমশায় হাজারিখেঃ দেখিয়া' চিনিতে পারিলেন, গ্রাম্য আতিথেয়তার কোনো গুটি হইল নাতখনই হাত পা ধাইবার জল আনাইয়া দিলেন এবং এ-বেলা অন্ততঃ থাকিয়া আহার না করিয়া তাহার যে যাইবার উপায় নাই। এ-কথাটিও হাজারিকে জানাইয়া দিলেন। বাড়ীর সম্মমাখাপথ নারিকেল গাছে ডাব পাড়িবার জন্য তখনই লোক উঠাইবার ব্যবস্থা করিলেন। গ্রামে। তখনই লোক ছিল না তত, এ দ-বছরে যেন আরও জনশন্য হইয়া পড়িয়াছে। বািড়য্যেমশায়ের বাড়ীর উত্তর দিকের বাঁশবনের ওপারে সেবার, একঘর গহস্থ ছিল, হাজারির মনে আছে-এবার সেখানে শান্য ভিটা পড়িয়া আছে। বিহারী বাড়িয্যে বলিলেন-কে, ও দালাল তো ? না ওদের আর কেউ নেই। দালাল আর তার ভাই নেপাল এক কাতিক মাসে ম্যাবা গৈল-দলালের বোঁ বাপের বাড়ী চলে গেল, ছেলেটা মেয়েটার হাত ধরে, আর নেপাল তো বিয়েই করে নি। কাজেই ভিটে সমভূমি হয়ে গেল। আর