পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

po हिन्द-शटश RSS গিয়েছে সাক্ষীদের সামনে। না গেলে ওরা খেসারতের দাবি করে নালিশ করতে পারে। আর একটা উদ্দেশ্য আছে কি জান মা, বড় বড় হোটেল কি করে চালায়, একবার নিজের চোখে দেখে আসি। আমার তা ঐ বাতিক, ব্যবসাতে যখন নেমেছি, তখন ওর মধ্যে যা কিছ আছে শিখে নিয়ে তবে ছাড়ব। বাধা দিও না মা, তুমি বাধা দিলে ত ঠেলবার সাধি নেই আমার। টেপির মা ও টেপি কান্নাকাটি করিতে লাগিল। ইহাদের দঙ্গনকে বুঝাইল নরেন। মামাবাব, কি নিরদেশ যাত্রা করিতেছেন? অত কান্নাকাটি করিবার কি আছে ইহার মধ্যে ? বোম্বে তো বাড়ীর কাছে, লোকে কত দীর দারান্তর যাইতেছে না। চাকুরীর জন্য ? সেই দিন রাত্রে হাজারি নরেনের মামা বংশীধর ঠাকুরকে ডাকিয়া বুলিল--একটা কথা আছে। আমি তো আর দিন-পনেরোর মধ্যে বোম্বাই যাচ্ছি। আমার ইচ্ছে যাবার আগে টেপির সঙ্গে নরেনের বিয়েটা দিয়ে যাব। নরেন। এখানকার কারবার দেখােশানো করবে-রেলের হোটেলটা ওকে নিজে দেখতে হবে-ওটাতেই মোটা লাভ। এতে তোমার কি মত? বংশীধর অনেকদিন হইতেই এইরপ কিছু ঘটিবে অচি করিয়া রাখিয়াছিল। বুলিল-হাজারিন্দা, আমি কি বলব, বলে। তোমার সঙ্গে পাশাপাশি হোটেলে কাজ করেছি। আমরা সখের সখী দঃখের দঃখী হয়ে কাটিয়েছি বহকাল। নরেনও তোমারই আপনার ছেলে। যা বলবে তুমি, তাতে আমার অমৃত কি ? আর ওরাও তো কেউ নেই-সবই জান তুমি। যা ভাল বোঝা কর । দেনাপাওনার মীমাংসা অতি সহজেই মিটিল। হাজারি রেলওয়ে হোটেলটির সর্বত্ব টেপির নামে লেখাপড়া করিয়া দিবে। তাহার অন্যােপস্থিতিতে নরেন ম্যানেজার হইয়া উভয় হোটেল চালাইবে-তবে বাজারের হোটেলের আয় হিসুব মত কুস্যামকে ও টোপর মাকে ভাগ করিয়া দিতে থাকিবে। বিবাহের দিন ধার্য হইয়া গেল। টেপির মা বলিল-ওগো, তোমার মেয়ে বলছে অতসীকে নেমস্তেন্ন করে পাঠাতে। ওর বড় বন্ধ ছিল-তাকে বিয়ের দিন আসতে লেখ না ? হাজারিও সে কথা ভাবিয়াছে। অতসীর সঙ্গে আজ বহুদিন দেখা