পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RS # আদশ হিন্দৰ-হোটেল লঙ্গজায় ও অপমানে পদ্মঝিয়ের চোখে তখন জল আসিয়াছে। জনতার সামনে দাঁড়াইয়া এমন অপমানিত সে কখনো হয় নাই! এই সময় হাজারিকে দেখিয়া সে হাউ হাউ করিয়া কাঁদিয়া ফেলিল । 影 —এই দেখো না ঠাকুর মশায়, তুমি তো কতদিন আমাদের হােটেলু ছিলে-এ আমার জিনিস না ? বলো না তুমি, এ বালতি কার? হাজারি সান্ত্বনার সরে বলিল-কেন্দো না এমন করে পদ্মদিদি। এ হোল আইন-আদালতের ব্যাপার। বাসন রেখে এসো ঘরের মধ্যে, আমি, দেখছি তারপর কি ব্যবস্থা করা যায় অবশ্য তখন কিছু করিবার উপায় ছিল না। সে আদালতের বেলিফকে জিজ্ঞাসা করিল--কি করলে এদের হোটেল আবার বজায় থাকে ? --টােকা চুকিয়ে দিলে। এ অতি সোজা কথা মশাই। সাড়ে সাতশ্যে . টাকার দাবীতে নালিশ-এখনও ডিকী হয় নি। বিচারের আগে সম্পত্তি শিল না করলে দেনাদার ইতিমধ্যে মাল হস্তান্তর করতে পারে, তাই শিলা করা । আদালতের পেয়াদারা কাজ শেষ করিয়া চলিয়া গেল। বেচু। চক্কত্তিকে একাধারে ডাকিয়া হাজারি দলিল-আমার সঙ্গে চলন না কতা-A, মশায় একবার ইন্টিশনের দিকে-আসন, কথা আছে। রেলের হোটেলে নিজের ঘরটিতে বেচু চক্কত্তিকে হাজারি বসাইয়া বলিল-কতা একট চা খাবেন ? বেচু চক্কত্তির মন খারাপ খাবই। চা খাইতে প্রথমটা সে চাহে নাই, BDBDS DB DDD DB CD BB D DBDBBBD BD DBDBSYS হাজারি, তুমি তো সাত আট বছর আমার সঙ্গে ছিলে, জানো তো সবই, হোটেলটা ছিল আমার প্রাণ ! আজি বাইশ বছর হোটেল চালাচ্ছি-এখন কোথায় যাই আর কি করি! পৈতৃক জোতজমা ঘরদের যা ছিল। ফলেনবলায়, সে এখন আর কিছ নেই, ওই হোটেলই ছিল বাড়ী। এমন কষ্ট হয়েছে, এই বড়ো বয়সে এখন দাঁড়াই কোথায় ? চালাই কী করে ? —এমন অবস্থা হোল কি ক’রে কতা! দেনা বাধালেন কি ক’য়ে ?