পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So আদশ হিন্দী-হোটেল আসবার দিকে তত টান নেই, সহরে দািধ বেচে চালানো যে কি মিনিট লেগেছে। হাজারি কথার গতি অন্য দিকে ঘরাইবার উদ্দেশ্যে বলিল-এবার আবাদপত্র কি রকম হোল বল ? ধানের আবাদ করিচি বারো বিঘে আর বাকী সব তরকারী। কুমড়ো দ-বিঘ্যে, আল, পেয়াজ,-তা। এবার আকাশের অবস্থা ভাল না। বাবাঠাকুর, ক্ষেতে মাটি ফেটে যাচ্চে ! ' তরকারির কথায় হাজারির নিজের গোপনীয় উচ্চাশার কথা মনে পড়িল। তরকারি তাহার গ্রাম হইতে কিনিলে রাণাঘাট বাজারের চেয়ে অনেক সংবিধা পাওয়া যায়। এখান হইতেই সে আনাজপত্র লইয়া যাইবে। হরি ঘোষকে বলল-আচ্ছা, তোমাদের আল কমণ হতে পারে? --বাবাঠাকুর তার কি কোন ঠিক আছে? তবে ত্রিশ-চল্লিশ মণি খাব হবে। --তুমি সমস্ত আল আমায় দিতে পারবে? নগদ দাম দেবো। কাঁচামালের ব্যবসা করচেন নাকি ? —ব্যবসা এখনও করিনি, তবে করবাে ভাবচি। সে তোমায় বলবোঁ ७aथम 4कीान । গোয়ালপাড়া হইতে আসিবার পথে একটা খাব বড় বাঁশবনের মাঝখান দিয়া পথ। এখানে লোকজন নাই, এড়োশোলা গ্রামেই লোকজনের বসত। বেশী নাই। আগে ছিল—ম্যালেরিয়ায় মরিয়া হাজিয়া লোকশন্য হইয়া পড়িয়াছে। শািন্ধ বড় বড় আম-কাঁঠালের বাগান ও বাঁশবনের জগুগল । এই বাঁশবনের মধ্যে পরানো দিনে পালিত পাড়া ছিল, হাজারি বাল্যািদ। কালেও দেখিয়াছে। পালিতেরা বেশ বর্ধিষ্ণ ছিল গ্লামের মধ্যে, পজিাপাবণ, দোল, দাগোৎসব পর্যন্ত হইয়াছে রাজেন পালিতের বাড়ী। এখন জঙ্গলের মধ্যে পালিতদের ভিটা পড়িয়া আছে। এই পর্যন্ত। দিনমানেই বোধ হয়। বাধা লাকাইয়া থাকে।