পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদশ হিন্দৰ-হোটেল 8s —আজ্ঞে না। চা খাওয়া আমার তেমন অভ্যোস নেই, আপনি খান বাবা । এমন সময় টেপি আসিয়া বলিল-বাবা, যাবে? হাজারি হরিচরণ বাবার কাছে বিদায় লইয়া মেয়েকে সঙ্গে করিয়া বাহির হইল। জ্যোৎসনা উঠিয়াছে, ভিড়েদের বাড়ীর উঠানে রাঙাকাঠি কাটিয়াছে।--রাঙাকাঠের গন্ধ বাহির হইতেছে। সিধা ভড় দাওয়ায় জাল বানিতেছিল, বলিল-দ্য-ঠাকুর কনে ছেলেন এত রাত অবধি ? হাজারি বলিল-বাবার বাড়ী। বাব ছাড়েন না কিছতে, চা খাও, কলের গান শোন, শেষে তো টেপিকে না খাইয়ে ছাড়লেন না গিন্নী মা। হাজারির বড় ভাল লাগিয়াছিল। আজ সন্ধ্যাটা। বড় লোকের বৈঠকখানায় এমন ভাবে বসিয়া চা সে কখনো খায় নাই, খাতির করিয়া তাহার ৫ সঙ্গে কোনো বড় লোকে মনের কথাও কখনো বলে নাই। কলের গান তো আছেই। মেয়েকে বলিল-টেপি কি খেলি রে ? টেপি একটি ভোজনপ্রিয়। খাইতে ভালবাসে আর গরীবের মেয়ে বলিয়াই অতসীর মা তাহাকে না খাওয়াইয়া ছাড়েন না। বলিল-পরোটা, মাছের ডালনা, সাজি, পটলভাজা, অ্যালভাজা হাজারির স্ত্রী অনেকক্ষণ রান্না সারিয়া বসিয়া আছে, বলিল-এত রাত্তির পদ্ধজন্ত ছিলে কোথায় সব ? পাড়া বেড়ানো শেষ হয় না যে তোমাদের, বসে বসে কেবল ঘািম আসচে টেপি বলিল-আমি খেয়ে এসেছি মা, অতসী-দিদির মা ছাড়লেন না। किछठ। उाभि किछद थाcदा ना। -হ্যাঁরে, তুই খেয়ে এলি! ওবেলার সেই বাসি লাচি তোর জন্যে রায়চে যে ! লাচি। খাবি নে ? অনেকদিন ইহাদের সংসারে এমন সচ্ছলতা হয় নাই যে, লাচি ফেলিয়া ছড়াইয়া ছেলে-মেয়েরা খাইতে পায়। বলিয়াও সখি। টেপি বলিল-তুমি খাও মা। আমি খাব খেয়ে এসেচি। সেখানেও তো। পরোটা, সাজি, মাছের ডালনা, এই সব খাইয়েচে । আজ দিনটা 8