পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

आयन' हिन्न-दादज থাকতে পারবেন না; ফলে-নবলা যাবেন! আমি বাজার থেকে খাবার কিনে আনি-এখানে একটা বসবার জন্যে নিয়ে এলাম। s কুসম হাসিয়া বলিল-বাবাঠাকুর, আপনি ব্যস্ত হবেন না দিকিনী। আমি সব যোগাড় করািচ জল খাবারের। আমার ঘরে সব আছে, ঘরে থাকতে বাজারে যাকেন খাবার আনতে কেন ? আমার বাড়ীতে যখন ব্রাহ্মণের পায়ের ধলো পড়েচে, তখন আমার ঘরে যা আছে তাই দিয়ে খেতে দেব-কিন্তু বাবাঠাকুর, সেই সঙ্গে আপনিও-মনে থাকে যেন। হাজারি প্রতিবাদবাক্য উচ্চারণ করার পাবেই কুস্যম ঘরের মধ্যে চলিয়া গেল-অগত্যা হাজারি বাহিরের ঘরে যতীশ ভট্টাচাজের কাছে ফিরিয়া আসিল। যতীশ ভট্টাচাজী বলিল-তোমার কোনো আত্মীয়ের বাড়ী নাকি হে? --না, আত্মীয় নয়, এরা হোল ঘোষ, গোয়ালা। এই বাড়ীতেই আমার ধর্মমেয়ের বিয়ে হয়েছে, ওই যে দোর খালে দিলে, ওই মেয়েটি। হাজারি বাহিরের ঘরে হইতে বাড়ীর অন্দরের দিকে দাওয়ায় গিয়া দাঁড়াইলদাঁড়াইয়া দাওয়ার দিকে চাহিয়া অবাক হইয়া গেল। দ’খানি পরিস্কারপরিচ্ছন্ন আসন পাতা-দ’বার্টি জবাল দেওয়া দধি, দাখানা, থালায় ফল-মল’ কাটা, বড় বাতাসা, ছানা, দটি মাখ-কাটা ডাব। ঝকঝকে করিয়া মাজা দটি কাঁসার গলাসে দা গলাস জল। হাসিমখে কুসম বলিল-ওঁকে ডাকুন, সেবা করতে বলন। যা বাড়ীতে ছিল একটি মাখে দিয়ে নিন দরজনে। --তা তো হোল-কিন্তু আমি আবার কেন কুস্যাম ? --মেয়ের বাড়ী যে-না খেয়ে কি যাবার যো আছে ? ডাকুন। ওঁকে। যতীশ ভাটচাঁজ খাইতে বসিয়া যেরপে গোগ্রাসে খাইতে লাগিল, • দেখিয়া মনে হইল, সে বড়ই ক্ষধাত ছিল। তাহার থালায় একটুকু কিছ পড়িয়া রহিল না। কুসম পান সাজিয়া বাহিরের ঘরে পাঠাইয়া দিল, খাওয়ার পরে। যতীশ ভট্টাচাজী বিদায় লইবার সময় বলিল-তোমার মেয়েটিকে একবার ডাকো হাজারি, আশীবাদ করে যাই।