পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

आक्रम' छिन्न-टशट्क्लेज 3 কুসম আসিয়া গলায় কাপড় দিয়া দ’জনকেই প্রণাম করিল। যতীশ ভট্টাচাজ, বলিল-মা শোনো, সারাদিন সত্যিই খাইনি। ভারি তৃপ্তির সঙ্গে খেলাম তোমার এখানে। তুমি বড় ভাল মেয়ে, ছেলেপিলে নিয়ে সখে। থাকো, আশীবাদ করি। হাজারি যতীশ ভাটােচজের সঙ্গেই চলিয়া আসিল ।” পথে আসিয়া বলিল-ভটচাজী মশাই, একটা হোটেল নিজে খলবো অনেক দিন থেকে ইচ্ছে আছে। আপনি কি বলেন? --অনায়াসে করতে পারো। খাব লাভের জিনিস-তোমার হবেও, তোমার মনটা বড় ভালো। কিন্তু পয়সা পাবে কোথায় ? --তাই নিয়েই তো গোলমাল। নইলে এতদিন খালে দিতাম-দেখি, চেন্টায় আছি-ছাড়াঁচ নে-ওই যে আমার মেয়ে দেখলেন, ওই কুসম, ও একবার টাকা দিতে চেয়েছিল। ও গরীব বেওয়া লোক, কেন ওর সামান্য পাঁজি নিতে যাবো ? তাই নিই নি। নিলে ও এখনি দেয়-তবে সে টাকা খব সামান্য। তাতে হোটেল খোলা হবে না। যতীশ ভট্টাচাজ চাণীর খেয়ার ধারে আসিয়া বলিল-আচ্ছা, চলি ইহাজারি—তুমি হােটেল খািললে তোমার হােটেলে আমি বাঁধা খন্দের থাকবাে, সে তুমি ধরে নিতে পারো। আর কোথাও যাবো না-তোমার মত রান্না ক'টা ঠাকুর রাঁধতে পারে হে? বেচু চক্কত্তির হোটেলে আমি যে যেতাম শািন্ধ তোমার নিরামিষ রান্না খাওয়ার লোভে! ভাল চলবে তোমার হোটেল ? এ দিগরে তোমার মত রাঁধতে পারে না কেউ, বলে যাচ্ছি। কথাগালি একটা খাব বড় বল ও প্রেরণা দিয়া গেল। • সে জানে, তাহার হাতের রান্না ভাল-কিন্তু খরিদ্দারের মাখে। সে কথা শনিলে তবে না তৃপিত! ক্ষধাত ব্রাহ্মণকে খাওয়াইয়াছিল বটে-কিন্তু সে যাইবার সময় যাহা দিয়া গেল, হাজারির মনের আনন্দ উৎসাহের দিক দিয়া দেখিতে গেলে তাহ খাব মাল্যবান ও সার্থক প্রতিদান। হাজারি যখন হোটেলে ফিরিল, তখন বেলা বেশী নাই। রতন ঠাকুর