পাতা:আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* O आक्रम' छिन्न-८शटुक्केज ডাল-ভাত চাপাইয়া দিয়াছে, মতি চাকর বা পদ্ম ঝি কেহই নাই। গদির ঘরে বেচু চক্কত্তি কাহাদের সহিত কথাবার্তা বলিতেছিল। হোটেলের রান্নাঘরে ঢাকিলে কিন্তু হাজারির মনে নতুন বলের সঞ্চার হয়। বরং ছটি পাইয়া বাহিরে গেলেই যত দভাবনা আসিয়া জোটেপ্রকান্ড উননের উপরে ফটেন্ত ডেকচির সামনে বসিয়া হাজারি নিজেকে বিজয়ী বীরের মত কলপনা করে। তখন না মনে থাকে কুসমের কথা, না। মনে থাকে অন্য কোনো কিছ। অবসাদ আসে হাতে কাজ না থাকিলে, এ বরাবরা দেখিয়া আসিতেছে সে। ইতিমধ্যে রতন ঠাকুর ফিরিল। হাজারিকে চুপি চুপি বলিল-একটি কথা আছে। আমার দেশের একজন লোক এসেছে- আমার কাছে থেকে চাকরী খাঁজবে। বড় গরীবতাকে বিনি টিকিটে খাওয়ার ঘরে ঢাকিয়ে খেতে দিতে হবে। তোমার যদি মত হয়, তবে তাকে বলি। হাজারি বলিল-নিয়ে এসো, তার আর কি। গরীব মানষি খাবে, আমার কোনো অমত নেই। রতন ঠাকুর খাব খাশি হইয়া চলিয়া গেল। ইঙ্গিতে লোকটিকে চিনাইয়া দিতে, হাজারি পরিতোষ করিয়া তাহাকে খাওয়াইল । পদ্ম ঝিয়ের অত্যন্ত সতক দটি এড়াইয়া লোকটা বিনা টিকিটে খহিয়া চলিয়া গেল-কেহ কিছ ধরিতেও পারিল না। এই রকম চলিল, এক-আধা দিন নয়, দশ-বারো দিন! একদিন আবার তাহার অন্য এক সঙ্গী জটাইয়া আনিয়াছে, তাহাকেও বিনামল্যে খাইতে महड श्देल। ব্যাপারটি সামান্য, হাজারি কিন্তু একটা প্রকান্ড শিক্ষা পাইল ইহা হইতে। এত সতক ব্যবস্থার মধ্যেও চুরি তো বেশ চলে! বেচু চািঙ্কত্তির টিকিট ও পয়সাতে ঠিক মিল আছে, সতরাং তাঁর দিক দিয়া সন্দেহের কোন কারণ নাই-পক্ষামাঝি যে পদ্মাঝি, সে পর্যন্ত বিন্দবিসর্গ জানিলনা ব্যাপারটার।