পাতা:আদায়ের ইতিহাস - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

हेंडिशन Sa বাড়ীর আকর্ষণ অনুভব করিয়া। এত অল্প সময়ের মধ্যেই কুন্তলা যদি তার মনকে টানিতে আরম্ভ করিয়া দিয়া থাকে, নিজের সম্বন্ধে তবে আর আশা ভরসা করিবার কিছু নাই। আধা ঘণ্টা পরে মণীশ আসিল । “কি হয়েছে তিস্থ ? “এমনি শরীরটা একটু—” ‘বিশেষ কিছু নয় তো ? তবে এসো-দু’টো একটা পিঠে তোমায় খেতেই হবে ভাই। কাল থেকে আয়োজন করে পিঠে তৈরী হয়েছে, তুমি চেখে দেখে সার্টিফিকেট না দিলে কেউ খুন্সী হবে না।” সুতরাং ত্রিষ্টুপ গেল। আগের দিন সহরের অন্য প্রান্ত হইতে স্বামী ও দুটি মেয়েকে নিয়া কুন্তলার দিদি বাপের বাড়ী বেড়াইতে আসিয়াছে। পিঠার আয়ােজনটা হইয়াছে ওদের জন্যই, ত্রিষ্টুপের 百可可可旧 蜘 কুন্তলার দিদি রমলাকে দেখিয়া ত্রিষ্টুপ আশ্চর্য হইয়া গেল। কুন্তলার চেয়ে সে বয়সে চার পাঁচ বছরের বড়, সাত বছর আগে তার বিবাহ হইয়াছে এবং মেয়ে হইয়াছে দু’টি ; তবু প্রথমবার তার দিকে তাকাইয়া ত্রিষ্টুপের মনে হইয়াছিল, কুন্তলাই বুঝি শাড়ী গয়না পরিয়া সিঁথিতে সিঁদুর দিয়া বৌ সাজিয়াছে। যমজ না হইয়াও যে দুটি বোনের চেহারায় এত মিল থাকিতে পারে, ত্রিষ্টপ কোন স্থিা কল্পনাও করিতে পারে নাই। কেবল বাহিরের নয়, দুজনের ভিতরের মিলটাও যে বিস্ময়কর প্রথমে ত্রিষ্টুপের কাছে তা ধরা পড়ে নাই। কুন্তলা ভীরু লাজুক নম্র ; রমলা হাসিখুসীি, মিশুক, কথা বলিতে পটু। সাত বছৰেটা বিবাহিত জীবন অধিকাংশ মেয়েকেই ভেঁাতা করিয়া দেয়, রমলার বেলা ফলটা হইয়াছে যেন ঠিক তার উলটা। - ভার অনুভূতি তীক্ষ হইয়াছে, জীবনীশক্তি বাড়িয়াছে, আনন্দ আহরুক্ষেমতা বাড়িয়াছে। স্মৃতি আর উৎসাহের জন্য যেন বিশেষ উটৈ মঞ্জকার হয় না ;