RS VING জন্য আগে হইতেই সব কাজ, সব হাঙ্গামা চুকাইয়া রাখিয়াছে। অন্য সমস্ত বিষয়ের চিন্তাও সে এখনকার মত মনের একপাশে সরাইয়া দিয়াছে, তার সবটুকু মনোযোগ এখন অভ্যাগতের প্রাপ্য। সংসারের কোন কাজ, কোন দায়িত্ব যাদের নাই, বাড়ীতে কেউ আসিলে তাদেরও ত্রিষ্টপ এমন স্থির শান্ত একাগ্রভাবে কখনও এক মিনিট আলাপ করিতে দেখে নাই, প্রতি মুহুর্তে রমলা যেন তার আত্মমর্যাদা বাড়াইয়া দিতে থাকে। একজনের প্রথম বাড়ীতে আসার অপরিহার্য অস্বস্তি ও সঙ্কোচ আপনা হইতে যেন কোথায় মিলাইয়া যায়। আজ ত্রিষ্টুপ প্রথম বুঝিতে পারে—অন্যে তুচ্ছ করিলে নিজের কাছে মানুষ কি ভাবে তুচ্ছ হইয়া যায়, অন্যে দাম দিলে কিভাবে দাম বাড়ে । জীবনকে রমলা শ্রদ্ধা করে । ধনীকে নয়, মানীকে নয়, গুণীকে নয়, জীবনের প্রতীক মানুষকে সে সম্মানের অর্ঘ্য দিয়া পূজা করে। তার কাছে থাকিলে ব্যর্থতার ক্ষোভ মানুষের তুচ্ছ হইয়া যায়। কারণ, কিছু না বলিয়াও সে যেন ক্রমাগত বলিতে থাকে, ব্যর্থতা ও সার্থকতার চেয়ে মানুষ অনেক বড়, যে অবস্থায় জীবন যাপন করুক, মানুষ চিরদিনই মানুষ। রাত প্রায় আটটার সময়ে ত্রিষ্টপ বিদায় নিল। পথে এবং বাড়ী ফিরিয়া রাত্রে ঘুম আসা পর্য্যন্ত এই নূতন অভিজ্ঞতাই সে মনে মনে নাড়াচাড়া করিতে লাগিল । তিরাশীটাকার এক কেরাণীর জীবন রামলা সুখে ও শান্তিতে ভরিয়া দিয়াছে। অপূর্ণতা তাকে পীড়ন করে DDDSDBDBD DBB DBDDDDD DBBBB BB D S DB SBDBDBBBBD লাগিলে রমলা তাতে নিজের আনন্দে প্রলেপ লাগাইয়া দেয়। এক বিষয়ে হতাশা জাগিলে অনেক বিষয়ে আশা জাগাইয়া রমলা তাকে সঞ্জীবিত করে। যা আছে, তারই সন্তোষে মন ভরিয়া রাখিয়া, বঁচিবার প্রয়োজনে মাসে মাসে তিরাশী টাকা দানের জন্য দেবতার কাছে কৃতজ্ঞ হইয়া থাকিয়া দারিদ্র্যের পেষণ ভুলাইয়া রাখে। মণীশ বলিয়াছিল, ধীরেন ভালমানুষ খাটি । তাকে কঁাদাইলে