পাতা:আদায়ের ইতিহাস - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8V) আদায়ের ত্রিষ্ট্রপ বিচলিত হইল না। মনের যে পরিবর্তন মণীশের মৃদু, তাচ্ছিল্য অনুভব করার ক্ষমতা তাকে আনিয়া দিয়াছে, সেই পরিবর্তনই অনেক কিছু তুচ্ছ করার ক্ষমতাও তাকে দিয়াছে। সে টের পাইয়াছে মণীশের এটা দুর্বলতা। “কি ধরব ? আমি যা চাই।” “সেটা কি ?” “আমার যা নেই, সেই সব ।” “ওতো এক কথাই হল—তোমার যা নেই, তুমি তাই চাও। কিন্তু অভাবের শেষ নেই মানুষের, চাওয়ারও শেষ নেই। দুটো অভাব বেছে না নিলে, তুমি চাইবেই বা কি ? সব অভাব তো মেটে না মানুষের।” মণীশ ফস করিয়া একটা সিগারেট ধরাইয়া ফেলিল। ত্রিষ্ট্রপ হাত বাড়াইয়া বলিল, “আমায় একটা দিন।” সিগারেট দিয়া মণীশ একটু বিস্ময়ের সঙ্গে তার দিকে চাহিয়া থাকে। ত্রিষ্টুপের শান্ত নির্বিকার, আত্মপ্রতিষ্ঠ ভাবটা তার কাছে এতক্ষণে ধরা পড়িয়াছে। নিজের সঙ্গেই যেন কথা বলিতেছে এমনিভাবে ত্রিষ্টুপ তারপর বলিতে থাকে, “আপনি ঠিক কথাই বলেছেন মনিদা। কিন্তু ও নিয়ে আমি আর মাথা ঘামাব না, ঠিক করেছি। ওতে কোন লাভ হয় না । ও বড় গোলমেলে ব্যাপার। ওটা আসলে DBBBBD DDBDB S SDD BBDBD DD DBD uDBS MgD BBDB সেটা স্থির করে ফেলতে চাই, ধাধা লেগে যায়। দশ বছর পরে DB DS BBD DD BD D DB S SBDB BBD DDDDB BBD পারলেও কথা ছিল । কিন্তু আপনি তো আমাকে জানেন, আদর্শের জন্য বেঁচে থাকার ধাত আমার নয়। আমি তাই ভেবেছি, নিজেকে বঁাধব না। আমি ঠিক করেছি, ভবিষ্যৎকে গড়ে উঠতে দেব। আজ আমার কাছে যা সব চেয়ে দামী, সব চেয়ে কাম্য, আমি সেটা পাওয়ার