পাতা:আদায়ের ইতিহাস - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইতিহাস কুন্তলাকে সে বিবাহ করিবে। এটা তার করা চাই। মণীশের মত না থাক, কুন্তলা তাকে পছন্দ না করুক, কুন্তলাকে সে বিবাহ করিবে !! এটা জিদের কথা নয়, গোয়াতুমি নয়, এই তার সঙ্কল্প। প্রেম চুলোয় যাক, সুখের নীড়ের স্বপ্ন আকাশে থাক। সে পুরুষ, সে কুন্তলাকে চায়। তাই সে কুন্তলাকে বিবাহ করিবে। কুন্তলা তার কাম্য এবং প্রাপ্য— ‘ওকে সে আদায় করিবে । যে ভাবেই হোক । এ পর্যন্ত কোন গোলমাল নাই। প্রশ্ন শুধু এই—কি ভাবে ? নূতন অভিজ্ঞতার মধ্যে এ প্রশ্নের জবাব তার জোটে না। অভিজ্ঞতার সঙ্গে অভিজ্ঞতার সমন্বয় ঘটানোর প্রক্রিয়া এখনো না জানায় ত্রিষ্টুপ বড় মুস্কিলে পড়িয়াছে। মা বলেন, “তুই কিছু মনে করিসনে বাবা।” ত্রিষ্ট্রপ চমকাইয় ওঠে, “কি বলছি তুমি ? “বলছি কি, ওঁর নানারকম বাতিক। উনি কি বলেন, কি করেন তাতে তুই রাগ করিসনে বাবা ?” “ও, এই কথা ।” ত্রিষ্টুপ স্বস্তি বোধ করে। প্রথমে তার মনে হইয়াছিল। মণীশদের বাড়ী হইতে খবরটা বুঝি। এ বাড়ীতে আসিয়া পৌছিয়াছে এবং মা তাকে সান্তন দিতে আসিয়াছেন। বলিতে আসিয়াছেন, তুই ভাবিসনে বাবা, কুন্তলার চেয়ে লক্ষগুণে সুন্দরী লেখাপড়া গানবাজনা-জানা বৌ তোর জন্য এনে দেব ! একবার এক মুহুর্তের জন্য ত্রিষ্টুপের মনে হইল, মাকে বলিলে কেমন হয় ? মার কাছে তার মনের কথা জানিয়া বাবা যদি মণীশের কাছে নূতন করিয়া বাঙ্গালী প্রথায় আবার প্রস্তাবটা উত্থাপন করেন, কোন ফল হওয়ার আশা আছে কি ? তারপর মণীশের কথা ভাবিয়া ত্রিষ্টপের মুখে মৃদু হাসি দেখা দিল । অত সহজে মণীশের মত বদলায় না । মণীশ শান্ত কিন্তু