পাতা:আদায়ের ইতিহাস - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইতিহাস st মণীশ শান্তভাবে সহানুভূতির সঙ্গে বলিল, “এখনো তোমার মন শান্ত হয়নি তিষ্ট? এতো ভারি দুঃখের কথা হল।” ত্রিষ্টুপ প্রাণপণ চেষ্টায় একটা অদ্ভুত হাসি হাসিল। ‘না না, ভাববেন না । ওসব কিছু নয় । রামলাদের বাড়ী পৌছানো পর্যন্ত সমস্ত পথ ত্রিষ্টুপ শুধু বুঝিবার চেষ্টা করিয়া গেল, হঠাৎ তার এই পাগলামী করার মানে কি ? মণীশকে মিথ্যা বলিয়া কুন্তলাকে দু’একবার বাড়ীতে বেড়াইতে उानिश ऊांद्र ब्लांड कि ? নিজের মনের কথাটা নিজের কাছেই ত্রিষ্টপের ক্রমে ক্রমে পরিষ্কার হইয়া উঠিতে লাগিল। প্রথমে সে ভাবিয়াছিল, আর কিছু নয়, মাঝে মাঝে বাড়ীতে আনিয়া কুন্তলাকে বশ করিবে । যেন সুযোগ পাইলেই মেয়েদের বশ করা যায়। তারপর চিন্তাটা আরও স্পষ্ট হইয়া উঠিল । ওরকম বিশ করিয়া কি কোন লাভ হইবে মণীশের বোনকে ? বশীকরণ সম্পূর্ণ হওয়ার পরও কি মণীশের বোন বলিবে না। “আমি কিছু জানি নে, দাদাকে জিজ্ঞেস করুন ?” কুন্তলা যে এখন তাকে ভালবাসে না। তাই বা কে বলিল ! ভালবাসিয়াও হয়তো সে বলিয়াছে, দাদার কথাতেই তার মরণ-র্বাচন, তার নিজের কোন পৃথক ইচ্ছা নাই। মণীশকে ত্রিষ্টপের রূপকথার দানবের মত মনে হয়—তার রাজকন্যাকে সে ঘুম পাড়াইয়া রাখিয়াছে। এমন ঘুম পাড়াইয়াছে যে, রাজপুত্র আসিয়া জাগাইলেও, সে জাগে না-জাগিয়াও তন্দ্রার মোহে আচ্ছন্ন হইয়া থাকে। কিন্তু কুন্তলাকে জাগানো চাই, মণীশের মন্ত্রের প্রভাব ব্যর্থ করা চাই । যদি চাই—তবে দোষ কি ? কি দোষ এমন অবস্থা সৃষ্টি করিতে, যখন তাকে বিবাহ করা ছাড়া উপায় থাকিবেন, তার সঙ্গে কুন্তলার বিবাহ দেওয়া ছাড়া মণীশের কোন উপায় থাকিবে না ?