পাতা:আদিশূর.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ গর্তাঙ্ক । ] আদিশূল, জগত । যুদ্ধ করা-যুদ্ধ করা সেনাপতি ! অস্ত্র ছেড়ে আবার বাক চাতুর্য কেন ? శీ ਸ। যুদ্ধের গৌরব আর ক’রো না রাজা । জান তো আমি আদিশূরের প্রধান সেনাপতি ? জর্গত। যে আদিশূর বাঙ্গলা অধিকারের জন্য কন্যাকে উৎসর্গ করেস্কেচ, চােরের মত নিশিৰােগে মালবে প্রবেশ করে শিপ্রায় রক্তের স্রোত প্রবাহিত করেছে, আজও যে কণৌজের কারাগারে বন্দী, সেই রণপতি আদিশূরের সেনাপতি তুমি তো ? সামন্ত । শুধু তাই নয় ; যে আদিশূরের পদভারে আজ সমস্ত পৃথিবী কম্পৰান, যার বীরত্বকাহিনী প্রান্তরে, নগরে, পর্ব্বতকন্দিরে প্রতিনিয়ত প্রতিধ্বনিত, র্যার ভয়ে তোমাদের আহার-নিদ্রা একেবারে উঠে গেছে, সেই আদিশূরের সেনাপতি আমি । জগত। তবে রক্ষা কর আদিশূরের সেনাপতি ! হৰ্ষবৰ্দ্ধনের পুত্রেক কবল হতে তোমাদের রাজার রাজধানী । রক্ষা কর পরাস্বপহারী । জগতবৰ্দ্ধনের প্রতিহিংসাপরায়ণ রক্তদৃষ্টি হ’তে তোমাদের জন্মভূমি বাঙ্গলা। রক্ষা কর বীরত্বাভিমানি!! আমার এই দীপ্ত অস্ত্রাঘাত হ’তে তোমার ঘূণিত জীবন। ['অস্ত্র ধরিলেন । সামন্ত। বুঝেছি রাজা ! তুমি ক্ষিপ্ত হয়েছ,-হওয়াই সম্ভব। তোমাব সকল আশা-ভরসা ঘুচে গেছে-সব আশ্রয় ভেঙ্গে গেছে, তাই সার করেছ মৃত্যু। এস রাজা ! বাঙ্গলার পরিবর্কে আজ তোমায় একটা নূতন রাজ্যে পাঠাই । [অন্ত্র ধারণ } জগত। সাবধান! তুমি আদিশূরের সেনাপতি, আমিও হর্ষবৰ্দ্ধনের পুত্র। [ যুদ্ধ করিতে করিতে প্রস্থান করিলেন [ qଏ !