পাতা:আধুনিক সাহিত্য-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ডি প্রোফণ্ডিস
১৬৩

আজিকার সদ্যোজাত শিশুটির কারণপুঞ্জ সেইখানে ঘুরিতেছে। উভয়ের বয়স এক; কেবল একজন ত্বরায় আমাদের চক্ষে প্রকাশিত হইয়াছে, আর-একজন প্রকাশিত হইতে বিলম্ব করিয়াছে।

Out of the deep, my child, out of the deep,
Where all that was to be, in all that was,
Whirl'd for a million æons thro' the vast
Waste dawn of multitudinous cddying light—
Out of the deep, my child, out of the deep,
Thro' all this changing world of changeless law,
And every phase of ever-heightening life,
And nine long months of antenatal gloom,
With this last moon, this crescent—her dark orb
Touched with earth's light—thou comest, darling boy.

অতীতের কথা শেষ হইয়াছে, এখন বর্তমানের কথা আসিতেছে। কবি শিশুটির পানে চাহিয়া দেখিলেন। দেখিলেন, অতীতকাল যাহাকে এত যত্নে লালন পালন করিয়া আসিতেছে, সে কে। সে তাহারই প্রাণাধিক পুত্র। তাঁহারই পুত্রকে চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারার সঙ্গে অতীতমাতা এক গর্ভে ধারণ করিয়াছে, এক জ্যোতির্ময় দোলায় দোলাইয়াছে, এক স্তন পান করাইয়া পুষ্ট করিয়াছে, আজ তাহারই হস্তে সমর্পণ করিল। তাঁহার আজিকার এই প্রাণাধিক বৎস প্রকৃতির এতদিনকার যত্নের ধন। তাহাকে কহিলেন, ‘তুই আমাদের আপনার ধন। তোর সর্বাংশসুন্দর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও গঠন ভাবী সর্বাঙ্গসুন্দর বয়স্ক পুরুষের ভবিষ্যৎ সূচনা করিতেছে। আমার স্ত্রীর ও আমার মুখ ও গঠন তোর মুখের ও গঠনের মধ্যে অচ্ছেদ্যবন্ধনে বিবাহিত হইয়াছে।’ কবি দেখিলেন, যে অনাদি অতীতের ধন সে আজ নিতান্তই তাঁহাদের।