পাতা:আধুনিক সাহিত্য-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৭৪
আধুনিক সাহিত্য

গ্রন্থপরিচয়ে দ্রষ্টব্য। ষষ্ঠ প্রবন্ধ ‘রাজসিংহ’ সাধনায় যেরূপ প্রকাশিত হয় তাহার সুচনার বহুলাংশ ত্যাগ করিয়া গ্রন্থে সংকলিত হইয়াছে। সাধনা অথবা নবমখণ্ড রবীন্দ্র-রচনাবলীর গ্রন্থপরিচয় দ্রষ্টব্য। পঞ্চদশ প্রবন্ধ বঙ্গদর্শনে ‘সাহিত্য-প্রসঙ্গ’ রূপে ‘রচনা সম্বন্ধে জুবেয়ারের বচন’ এই শিরোনামে মুদ্রিত হয়।

‘আধুনিক সাহিত্য' গ্রন্থে আলোচিত অধিকাংশ লেখকই বাংলা সাহিত্যে সুপ্রতিষ্ঠ; সমালোচিত গ্রন্থগুলিও প্রায়শঃ বহুখ্যাত। কয়েক ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ গ্রন্থকারদের নাম সংক্ষেপে দিয়াছেন, কয়েক ক্ষেত্রে নাম দেওয়া হয় নাই, অথচ হয়তো আধুনিক পাঠকের পক্ষে ইঙ্গিতই যথেষ্ট নয়, সেজন্য পরবর্তী উল্লেখগুলির প্রয়োজন হইতে পারে—

 ‘ফুলজানি’ শ্রীশচন্দ্র মজুমদারের রচিত; যুগান্তর’ গ্রন্থের রচয়িতা শিবনাথ শাস্ত্রী; ‘আর্যগাথা’ ‘আষাঢ়ে’ ‘ম’ তিনখানি কাব্যেরই লেখক দ্বিজেন্দ্রলাল রায়; ‘শুভবিবাহ' গ্রন্থের লেখিকা শরৎকুমারী চৌধুরানী। ‘মুসলমান রাজত্বের ইতিহাস’ এবং ‘সাকার ও নিরাকার’ প্রবন্ধদ্বয়ের সূচনায় প্রয়োজনীয় উল্লেখ আছে।

শ্রীশচন্দ্র মজুমদার মহাশয়ের ‘ফুলজানি’ সম্পর্কে এবং সাধারণভাবে তাঁহার রচনারীতি সম্পর্কে এই গ্রন্থের সপ্তম নিবন্ধে যে অভিমত ব্যক্ত হইয়াছে তাহারই পরিপূরক হিসাবে ‘ছিন্নপত্র’ গ্রন্থের কয়েকটি অংশ সংকলন করা যাইতে পারে―

{{gap}•••আপনার বহিটা শেষ হয়ে গেলে সাধারণ পাঠকদের কিরকম লাগে জানতে ইচ্ছা রইল। হয়তো বা ভালো লাগতেও পারে। ভালো লাগবার একটা কারণ এই দেখছি, আপনি আপনার কেতাবের মধ্যে আমাদের চিরপরিচিত বাংলাদেশের একটি সজীব মূর্তি জাগ্রত