ভব। সেই খানেই আছেন।
ক। কি কাজ করিতেছেন?
ভব। যাহা করিতেছিলেন। দুর্গনির্ম্মাণ, অস্ত্রনির্ম্মাণ। তাঁহারই নির্ম্মিত অস্ত্রে সহস্র সহস্র সন্তান সজ্জিত হইয়াছে। তাঁহার কল্যাণে কামান, বন্দুক, গোলা, গুলি, বারুদের আমাদের আর অভাব নাই। সন্তানমধ্যে তিনিই শ্রেষ্ঠ। তিনি আমাদিগের মহৎ উপকার করিতেছেন। তিনি আমাদিগের দক্ষিণ বাহু।
ক। আমি প্রাণত্যাগ না করিলে কি এত হইত? যার বুকে কাদা পোরা কলসী বাঁধা সে কি ভবসমুদ্রে সাঁতার দিতে পারে? যার পায়ে লোহার শিকল সে কি দৌড়ায়? কেন সন্ন্যাসী তুমি এ ছার জীবন রাখিয়াছিলে?
ভব। স্ত্রী সহধর্ম্মিণী, ধর্ম্মের সহায়।
ক। ছোটা ছোট ধর্ম্মে। বড় বড় ধর্ম্মে কণ্টক। আমি বিষকণ্টকের দ্বারা তাঁহার অধর্ম্মকণ্টক উদ্ধৃত করিয়াছিলাম। ছি! দুরাচার পামর ব্রহ্মচারী! এ প্রাণ তুমি ফিরাইয়া দিলে কেন?
ভব। ভাল, যা দিয়াছি তা না হয় আমারই আছে। কল্যাণি! যে প্রাণ তোমায় দিয়াছি, তা কি তুমি আমায় দিতে পার?
ক। আপনি কিছু সম্বাদ রাখেন কি, আমার সুকুমারী কেমন আছে?
ভব। অনেক দিন সেসম্বাদ পাই নাই। জীবানন্দ অনেক দিন সে দিকে যান নাই।
ক। সে সম্বাদ কি আমায় আনাইয়া দিতে পারেন না? স্বামীই আমার ত্যজ্য, বাঁচিলাম ত কন্যা কেন ত্যাগ করিব? এখনও সুকুমারীকে পাইলে এ জীবনে কিছু সুখ সম্ভাবিত হয়। কিন্তু আমার জন্য আপনি কেন এত করিবেন?