পাতা:আনন্দমঠ - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পাঠভেদ
১৫১

 ভব। দেবচরিত্র ছাড়িয়া, পশুচরিত্রে এ অনুরাগ কেন?

 ক। চিত্ত বশ নহে বলিয়া। [এই কথাগুলির পরিবর্ত্তে ২য়-৩য় সংস্করণে কেবলমাত্র “বিধিলিপি।” আছে]

 তৃতীয় খণ্ড—চতুর্থ পরিচ্ছেদ। পৃ. ৮৮, ১২শ পংক্তি “ধর্ম্মে কণ্টক।” কথাগুলির পর প্রথম সংস্করণে ছিল—

 কণ্টকেনৈব কণ্টকং।

 তৃতীয় খণ্ড—চতুর্থ পরিচ্ছেদ। পৃ. ৮৮, ২৮শ পংক্তি “তবে তাঁরই হইব।” স্থলে ১ম সংস্করণে ছিল—

 তবে তাঁর পায়ে লুটাইব।

 তৃতীয় খণ্ড—পঞ্চম পরিচ্ছেদ। পৃ. ৯৩, ১-৫ম পংক্তির “বলিলেন··হইলেন না।”— এই অংশের পরিবর্ত্তে প্রথম সংস্করণে ছিল—

 ধীরানন্দও সরিয়া গেল।

 তৃতীয় খণ্ড—ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ। পৃ. ১৩, ২৩-২৫শ পংক্তির “গজের মত···ছি! মরিব!” স্থলে প্রথম সংস্করণে নিম্নলিখিত অংশটি ছিল—

গজদেহ স্থাপন করিয়া কি করিব? ইহা আমাকে করিতে হইয়াছে, অদৃষ্টে যাহা থাকে হইবে। আপনার ওজন আপনি না বুঝিয়া মানদণ্ডে আমি তুলিত হইতে উঠিয়াছিলাম। যে লোভী, যে পাপিষ্ঠ, যে ইন্দ্রিয় পরবশ, যে অধর্ম্মী তাহার আবার ধর্ম্ম কি? তাহার আবার সত্য কি? পাপে আমার ভয় কি? অনন্ত নরক আমার কপালে নিশ্চিত। ইহজীবন ধ্বংসের সম্ভাবনা, এই ইহজীবন ধ্বংসে আমার ভয় কি? অতএব যাহাই কপালে ঘটুক, আমি এ দুষ্কর্ম্ম করিব। এদিকেও প্রাণ যায়, সে দিকেও প্রাণ যাইবে। যে বিপদ দূরবর্ত্তী তাহাকে উপক্ষা করিয়া যে বিপদ নিকটবর্ত্তী তাহা হইতে আপনাকে উদ্ধার করিতে হয়। আমি ধীরানন্দের পরামর্শ শুনিব।—না! ধর্ম্মই সর্ব্বাপেক্ষা গুরু, এ জীবন হয়তো এই মুহূর্ত্তেই সর্পদংশনে শেষ হইতে পারে, কিন্তু জন্মান্তরের তো শেষ নাই। এ জীবনে আমি যদি সুখী হই, সে দুই দিনের জন্য, পরলোকে যদি আমি দুঃখী হই, সে অনন্তকালের জন্য।”

 তৃতীয় খণ্ড—সপ্তম পরিচ্ছেদ। পৃ. ৯৫, ১০ম পংক্তির পরে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সংস্করণে নিম্নোদ্ধৃত অংশ ছিল—

 শান্তি গলা চিনিল, বলিল, “রহ্ পোড়াকপালীর ছেলে! বুড়ো বয়সে তুমি মেয়েমানুষের সঙ্গে গায়িতে এসো!” এই বলিয়া শান্তি সারঙ্গের তারগুলি আর একটু চড়াইয়া লইয়া, কণ্ঠ আর একটু উঁচুতে তুলিয়া দিয়া, গায়িল—