কাছে এলেই নূতন ল্যাজ গজাবে, তার ঝাপটায় পৃথিবী চুরমার হতে পারে।
প্রবীণ হেডপণ্ডিত কুঞ্জবিহারী তলাপান্র কাগজে লিখলেন, এই আকাশচারী ভয়ংকর পাদুকা কোন্ মহাপুরুষের? দেখিয়া মনে হয় বিদ্যাসাগর মহাশয়ের। মধ্যশিক্ষাপর্ক্ষদের খামখেয়াল দেখিয়া সেই স্বর্গস্থ তেজস্বী মহাত্মার ধৈর্য চ্যুতি হইয়াছে, ত।ই তাহার এক পাটি বনামা গগনতলে নিক্ষেপ করিয়াছেন। এই উড়ুক্কু গগন-চটি শীঘ্রই শিক্ষাপর্ষদের মস্তকে নিপতিত হইবে।
সরকার-বিরোধী দলের অন্যতম মুখপাত্র বিরুপাক্ষ মণ্ডল লিখলেন, না, বিদ্যাসাগরের চটি নয়, তার শুঁড় এত বড় ছিল না। এই আসমানী পয়জার হচ্ছে স্বগস্থ মনীষী ডাণ্ডার মহেন্দ্রলাল সরকারের। যত সব মেডিক্যাল কলেজ আর হাসপাতালের কেলেঙ্কারি দেখে তিনি খেপে উঠেছেন, হাতের কাছে অন্য হাতিয়ার না পেয়ে এক পাটি চটি ছেড়েছেন। কর্তারা হুঁশিয়ার।
ভক্ত কবি হেমন্ত চট্টরাজ লিখলেন, এই গগন-চটি মানুষের নয়,এ হচ্ছে মূর্তমান ঐশ রোষ। চুর ঘুষ ভেজাল মিথ্যাচার ব্যভিচার ভণ্ডামি ইত্যাদি পাপের বৃদ্ধি, রাজ্যসরকারের অকর্মণ্যতা, ধনীদের বিলাসবাহুল্য, ছেলেমেয়েদের 'সিনেমোন্মাদ, এই সব দেখে নটরাজ চঞ্চল হয়েছেন, প্রলয়নাচন নাচবার জন্য ডান পা বাড়িয়েছেন, তা থেকেই এই রুদ্র চটি গগনতলে খসে পড়েছে। প্রলয়ংকর রুদ্রতাণ্ডব শুরু হতে আর দোর নেই, জগতের ধ্বংস একবারে আসন্ন। দেশের ধনী দরিদ্র উচ্চ নীচ আবালবৃদ্ধ স্ত্রীপুরুষ যদি শীঘ্র ধর্মপথে ফিরে না আসে তবে এই রুদ্ররোষ সকলকেই ব্যাপাদিত করবে।
কিন্তু আনাড়ী লোকদের এই সব জল্পনা শাক্ষত জনের মনে লাগল না। বিশেষজ্ঞরা কি বলেন? বিশ্বমভর কটন মল, বিশ্বম্ভর