পাতা:আনন্দী বাঈ - সখারাম গণেশ দেউস্কর.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম অধ্যায়

শিখাইয়াছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য-ক্রমে অল্প বয়সেই তাঁহার প্রথম পত্নীর লোকান্তর-প্রাপ্তি ঘটে। ইহাতে গোপাল রাওয়ের হৃদয়ে বিষম আঘাত লাগে। তিনি আর দারপরিগ্রহ করিবেন না, প্রথমে এইরূপ সংকল্প করিয়াছিলেন। কিন্তু অপর অনেক ব্যক্তির ন্যায় তাঁহার এ প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ হইয়াছিল।

 গোপাল রাও অল্প দিনের মধ্যেই শিক্ষা সাঙ্গ করিয়া ডাক বিভাগে কর্ম্মগ্রহণ করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। তিনি বদলি হইয়া কল্যাণের ডাকঘরে আগমন করিলে, যমুনার সহিত তাঁহার বিবাহসম্বন্ধ স্থির হয়। এই সম্বন্ধ স্থির করিবার সময় তিনি একটি বিষয়ে গণপৎ রাওকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করিয়াছিলেন। তিনি ভাবী পত্নী যমুনাকে পিত্রালয়ে রাখিয়া নিজের ইচ্ছামত শিক্ষাদান করিবেন, তাহাতে তাঁহার শ্বশুর কোন আপত্তি বা বাধাদান করিতে পারিবেন —এইরূপ প্রতিজ্ঞা করিতে তিনি গণপৎ রাওকে বাধ্য করিলেন। গণপৎ রাও স্ত্রীশিক্ষার বিশেষ পক্ষপাতী না হইলেও নূতন বর অনুসন্ধানের দায় হইতে নিষ্কৃতিলাভের জন্য ভাবী জামাতার প্রস্তাবে সম্মত হইলেন। তখন গোপাল রাও বিবাহের আয়োজন করিবার জন্য ছুটি লইয়া সঙ্গমনের অভিমুখে যাত্রা করিলেন।

 আমরা গোপাল রাওয়ের যে অব্যবস্থিত-চিত্ততার কথা বলিয়াছি, এই সময়ে তাহার প্রথম বিকাশ হয়। দ্বিতীয় বার দারপরিগ্রহ করিবার সময় গোপাল রাও বিধবা-বিবাহ করিবেন, স্থির করিয়াছিলেন। যমুনার সহিত বিবাহ-সম্বন্ধ স্থির হইবার পূর্ব্বে তিনি মহারাষ্ট্র দেশের বিদ্যাসাগর—বিধবা-