পাতা:আনন্দী বাঈ - সখারাম গণেশ দেউস্কর.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বিতীয় অধ্যায়
২৫

করেন। বঙ্গদেশে অবরোধ ও অবগুণ্ঠন প্রথার কঠোরতাই ইহার কারণ। যাঁহারা বহুদিন ইংলণ্ড ও আমেরিকায় বাস করিয়া শিক্ষালাভ করিয়াছেন, তাঁহারাও দেশীয় প্রথার লঙ্ঘন করেন না। একদিন আমরা এস্‌প্ল্যানেডে বেড়াইতে ছিলাম, এমন সময়ে একজন পুলিশ কনেষ্টবল আমার স্বামীকে সহসা আমার পরিচয় জিজ্ঞাসা করিল! তিনি রুষ্ট হইয়া তাহার বিরুদ্ধে পুলিশ কমিশনরের নিকট রিপোর্ট করিবেন, বলেন। তখন সে ক্ষমাপ্রার্থনা ও সেলাম করিয়া চলিয়া যায়।”

 কলিকাতায় চাকরীর কালে একবার একখানি সরকারি পত্র গোপাল রাওয়ের হস্ত হইতে অকস্মাৎ হারাইয়া যায়। সে জন্য তিনি অস্থায়িভাবে পদচ্যুত হইয়াছিলেন। এই ঘটনা সম্বন্ধে আনন্দী বাঈর একখানি পত্রে এইরূপ লিখিত আছে—“আমরা এখনও বিপজ্জাল হইতে মুক্তিলাভ করিতে পারি নাই। বিগত পাঁচ মাসকাল বাহিরে সমানভাবে মানসিক কষ্ট ভোগ করিতেছি। সে কষ্ট বিস্মৃত হইতে না হইতে নূতন বিপদ আসিয়া উপস্থিত হইয়াছে। বড়লাট বাহাদুরের নিকট হইতে বঙ্গের ছোট লাট সাহেবের নামে একখানি পত্র আসিয়াছিল। ঐ পত্রখানি সিমলা হইতে সরকারি কর্ম্মচারীর বিশেষ তত্ত্বাবধানে এখানে আসে। আমার স্বামীর প্রতি উহা রেল স্টেশনে গিয়া ডাকে দিবার ভার অর্পিত হয়। তিনি উহা গ্রহণ করিয়া একজন ভৃত্যসহ রেল ষ্টেশনের দিকে গমন করিতেছিলেন। চিঠিখানি ভৃত্যের হস্তে ছিল। তাঁহারা দ্রুতপদে গমন করিতেছিলেন, এমন সময়ে