পাতা:আনন্দী বাঈ - সখারাম গণেশ দেউস্কর.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চতুর্থ অধ্যায়
৫১

ন্যায় কয়েক জনের ব্যবহারে মার্কিনবাসীর চক্ষে ভারতবাসীর মর্য্যাদা লাঘব হইয়াছে দেখিয়া বড় দুঃখিত হইয়াছি। একেই ভারতবর্ষ সম্বন্ধে এদেশের লোকের নানাপ্রকার কুসংস্কার আছে; তাহার উপর আবার, খৃষ্টীয় “ভট্টাচার্য্যগণের” অনুগ্রহে তাহা অধিকতর ঘনীভূত হইয়া থাকে। এরূপ অবস্থায় এদেশে বাসকালে সতর্কতার সহিত সদাচরণ না করিলে ভারত-মাতার মর্য্যাদার হানি ঘটিবে, এ কথা প্রত্যেক ভারতবাসীর স্মরণ রাখা উচিত।”

 আমেরিকায় উপস্থিত হইবার পর আনন্দী বাঈ ফিলাডেলফিয়া ও নিউইয়র্ক হইতে শিক্ষালাভের জন্য আহূত হন। ফিলাডেলফিয়ার ওল্ড স্কুল নামক বিদ্যালয়ে চিকিৎসা-পারদর্শিনী রমণীগণের দ্বারা শিক্ষাদান কার্য্য সমাহিত হইয়া থাকে বলিয়া সেখানে গমন করাই আনন্দী বাঈ সঙ্গত মনে করিলেন। প্রথমে তথায় এক বৎসর কাল শিক্ষালাভ করিয়া পরে তাঁহার নিউইয়র্ক গমনপূর্ব্বক হোমিওপ্যাথি শিক্ষা করিবার সংকল্প ছিল, কিন্তু পরে সে সংকল্প তাঁহাকে পরিত্যাগ করিতে হয়। এদিকে ফিলাডেলফিয়ার স্কুলের প্রধান অধ্যাপিকা কুমারী বড্‌লে মহোদয়ী পুনঃ পুনঃ আনন্দী বাঈকে আহ্বান করিতে লাগিলেন। তিনি তাঁহাকে তিন বৎসর শিক্ষার জন্য ছয় শত ডলার বৃত্তি-দানেরও অঙ্গীকার করিলেন। ঐ কলেজের নিয়মানুসারে বিংশ হইতে ত্রিংশবর্ষীয়া ছাত্রীরাই বৃত্তিলাভের অধিকারিণী হইয়া থাকে। আনন্দী বাঈ ইহা অবগত হইয়াও আপনার বয়স গোপন করেন নাই। তিনি যে অল্প দিনমাত্র অষ্টাদশ বর্ষে পদার্পণ করিয়াছেন, এ কথা তিনি