পাতা:আনন্দী বাঈ - সখারাম গণেশ দেউস্কর.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৮
আনন্দী বাঈ

মর্ম্ম মার্কিনবাসীকে বুঝাইবার জন্যই আমি সংস্কৃত শাস্ত্রের অধ্যয়ন করিতেছি।” ফিলাডেলফিয়ায় গিয়া আনন্দী বাঈ সে প্রতিজ্ঞার পূরণ করিয়াছিলেন। ভারতবর্ষ হইতে প্রত্যাগত মিশনারী রমণীগণ হিন্দুদিগের সম্বন্ধে যদৃচ্ছা মতামত প্রকাশ করিলে তিনি প্রায়ই তাঁহাদিগের ভ্রান্তি-খণ্ডন করিবার সুযোগ পরিত্যাগ করিতেন না। একবার হিন্দু-বাল্যবিবাহ সম্বন্ধে কোনও বক্তৃতাকারিণীর মতের প্রতিবাদ করিয়া তিনি একটি স্ত্রীসভায় জয়লাভ করেন এবং সে জন্য দশ ডলার পুরস্কার প্রাপ্ত হন। সেই সভায় প্রায় দুই সহস্র রমণী সেদিন উপস্থিত ছিলেন। “হিন্দু রমণী” সম্বন্ধেও তিনি একবার বক্ততা করিয়া মার্কিনবাসীর কুসংস্কার দূর করিবার প্রয়াস পাইয়াছিলেন। তাঁহার বক্তৃতা শ্রবণের জন্য সকলেই আগ্রহ প্রকাশ করিতেন। কিন্তু অবসরের অভাবে আনন্দী বাঈকে অনেক স্থলেই বক্তৃতার নিমন্ত্রণে প্রত্যাখ্যান করিতে হইত। তথাপি কি প্রকারে মার্কিনবাসীর চক্ষে ভারতবর্ষের গৌরব বৃদ্ধি পাইবে, তাহার চিন্তাই আনন্দী বাঈর চিত্তক্ষেত্রকে সম্পূর্ণরূপে অধিকার করিয়া রাখিত।

 একবার তিনি একখানি পত্রে তাঁহার জনৈক আত্মীয়কে নিম্নলিখিত কয়েকটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন,—“আমাদিগের জাতীয় পতাকা কি?.. তাহার বর্ণ ও আকৃতি কি প্রকার? মহারাজ শিবাজীর বিজয়পতাকা কিরূপ ছিল? মহারাষ্ট্রীয় হইয়া একথা না জানা লজ্জার বিষয় বটে। প্রসিদ্ধ গৈরিক পতাকাই কি তাঁহার বিজয়ের পতাকা ছিল? বর্ত্তমান দেশীয় রাজন্যবৃন্দই বা কি