পাতা:আনন্দী বাঈ - সখারাম গণেশ দেউস্কর.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



ষষ্ঠ অধ্যায়

পূর্ব্ব হইতে আনন্দী বাঈর স্বাস্থ্যহানি ঘটিয়াছিল। পরীক্ষা দান কালেই তিনি অতীব দুর্ব্বল হইয়া পড়িয়াছিলেন। তাঁহার উপাধিলাভের পরই পণ্ডিত রমা বাঈর কন্যা মনোরমার ভয়ানক অসুখ হয়। আনন্দী বাঈ সেজন্য কয়েক রাত্রি জাগরণ করিয়া তাহার শুশ্রূষা করেন। ইহাতে তাঁহার অসুস্থতা বৃদ্ধি পায়। এই অসুস্থতাকে অতিশ্রম-জনিত মনে করিয়া তিনি অতঃপর বিশ্রামলাভের জন্য স্বামীর সহিত রোশেল নগরে গমন করেন। তথায় কিছুদিন অবস্থান করিয়া কিঞ্চিৎ সুস্থ হইতে না হইতেই তাঁহাকে নিউ ইংল্যাণ্ডের ব্যাক্লে হাঁসপাতালে চিকিৎসাশাস্ত্র সম্বন্ধে কার্য্যমূলক (practical) জ্ঞানলাভের জন্য গমন করিতে হয়। সেখানে সমস্ত দিবারাত্রি রোগীদিগের পর্য্যবেক্ষণে নিযুক্ত থাকিতে বাধ্য হওয়ায় আবার তাঁহার স্বাস্থ্য-ভঙ্গ ঘটিল। পূর্ব্বাবধি তাহার শিরঃপীড়া ছিল। এক্ষণে তাহা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইল এবং দুর্ব্বলতার সহিত কাশি দেখা দিল। ইহা যে কোনও ভয়ঙ্কর রোগের পূর্ব্বলক্ষণ, তাহা সে সময়ে কেহই বুঝিতে পারিলেন না। কেবল বায়ুপরিবর্ত্তন ও বিশ্রাম লাভ করিলেই উহা নিরাকৃত হইবে ভাবিয়া সকলেই সেই ব্যবস্থা করিলেন। আনন্দী বাঈ কখনও তাঁহার স্বামীর সহিত, কখনও বা অন্য সঙ্গিনীর সহিত বোষ্টন, প্রভিডেন্স, হার্টফোর্ট, ডিলাওয়ার্কো, সিনসিনেটী, কার্লাইল প্রভৃতি স্বাস্থ্যকর স্থানে