পাতা:আনন্দী বাঈ - সখারাম গণেশ দেউস্কর.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষষ্ঠ অধ্যায়
৭৭

কয়েক মাস করিয়া বাস করিলেন। কিন্তু তাহাতে তাঁহার পীড়ার বিশেষ কোনও উপকার হইল না। পূর্ব্বোক্ত স্থানসমূহের মধ্যে বোষ্টন নগর, সিন্‌সিনেটী-স্থিত নায়াগরা নদীর জলপ্রপাত ও কার্লাইল নগরে “ইণ্ডিয়ান স্কুল” বা দক্ষিণ আমেরিকা-প্রবাসী হিন্দুদিগের জন্য প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয় প্রভৃতির সন্দর্শন করিয়া তিনি বিশেষ আনন্দ অনুভব করিয়াছিলেন।

 এই সময়ে বোম্বাই প্রদেশের অন্তর্গত কোহ্লাপুর নামক দেশীয় রাজ্যের অধিপতি স্বীয় রাজধানীতে একটি হাঁসপাতাল স্থাপন করিয়াছিলেন। আনন্দী বাঈ ঐ হাঁসপাতালে চিকিৎসয়িত্রীর পদ গ্রহণ করিবার জন্য নিমন্ত্রিত হইলেন। বহুদিন বিদেশে একাকিনী বাস করিয়া তাঁহারও স্বদেশে গিয়া আত্মীয় স্বজনগণের সহবাসে কালযাপন করিবার বাসনা অতীব প্রবলা হইয়াছিল। কিন্তু গোপাল রাও সে প্রস্তাবে বিরোধী হইলেন। তাঁহার রুশিয়া ও ইংলণ্ড প্রভৃতি দেশে গমনপূর্ব্বক ভারতীয় সামাজিক রীতি নীতির শ্রেষ্ঠত্ব-প্রতিপাদিনী বক্তৃতা করিবার ইচ্ছা ছিল। কাজেই আনন্দী বাঈ একাকিনী স্বদেশে প্রত্যাবৃত্ত হইবেন, স্থির করিলেন। পরিশেষে আনন্দী বাঈর স্বাস্থ্যের অবস্থা ও স্বদেশগমনে ব্যগ্রতা দেখিয়া গোপাল রাওকে স্বীয় সঙ্কল্পের পরিহার করিতে হইল। এই সময়ে আনন্দী বাঈ তাঁহার শ্বশ্রূকে যে কতিপয় পত্র লিখেন, তাহাতে তিনি শাশুড়ীকে কোহ্লাপুরে আসিয়া তাঁহার নিকট বাস করিতে অনুরোধ করিয়াছিলেন। শাশুড়ীর স্নেহলাভের ও তাঁহাকে সর্ব্বপ্রকার সুখী করিবার জন্য তাহার মনে যে এই সময়ে একটা