পাতা:আফগানিস্থান ভ্রমণ.djvu/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১০
আফগানিস্থান ভ্রমণ

 সেই বইগুলির অনুসন্ধানে বের হলাম। কোথায় এবং কার কাছে বইগুলি আছে তা জানা ছিল না। পার্শি ব্যবসায়ীও তা বলে দেন নি। ফিরে এলাম সেই চায়ের দোকানে যেখান হতে আমি বার বার আঁধারের মাঝেও আলোর সন্ধান পেয়েছিলাম। চায়ের দোকানে ক্রমেই পুরাতন বয়ের দেখা পাওয়া গেল। এবার সেই বয় আমার সংগে কথা বলল। এই যুবকের সংগে আমার সাক্ষাৎ হয় পেশোয়ারে একটি বই-এর দোকানে। তখন তার পরনে ছিল পাজামা এবং পাঠানের পাগড়ী। এবার সে নূতন পোশাক পরেছে। দেখতে বেশ সুন্দর দেখায়। বইএর সন্ধান তারই কাছে জিজ্ঞাসা করলাম। বইএর সন্ধান কার কাছে গেলে পাব সে বলে দিল। সে সত্বরই রুশ দেশে যাবে তাও জানালে। রুশ দেশে যাবে সে এক নয়, আরও অনেকে। দুঃখের সহিত বললে তার দু’জন সংগীকে আফগান রাজ্যের মধ্যেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বাংগালী বাবু বয় সেজে রয়েছিলেন এতে আমার রাগ হয়েছিল, কিন্তু যখন শুনলাম তারই সাথী দু’জনকে হত্যা করা হয়েছিল তখন বড়ই দুঃখিত হয়েছিলাম এবং বয়কে সান্ত্বনা দিয়ে বলেছিলাম, “মাতৃভূমিকে যদি মুক্ত করতে হয় তবে মরণকে বরণ করে নিতে হবেই।”

 চায়ের দোকান হতে বের হয়ে বয়-কথিত মিঃ আবদুল্লার আফিসের দিকে রওনা হলাম। আবদুল্লার সংগে পূর্বেই পরিচয় হয়েছিল। তিনি একজন পাঞ্জাবী মুসলমান। তাঁর অনেক বদনাম রাজা মহেন্দ্রপ্রতাপের কাছ থেকে শুনেছিলাম, এমনকি তিনি তাঁর ওয়াল‍র্ড ফেডারেশন নামক মাসিক পত্রে আবদুল্লাকে লক্ষ্য করে অনেক কথাই লিখেছিলেন। আমি সেই আবদুল্লার বাড়িতে গিয়েই বইএর সম্বন্ধে নানা প্রশ্ন করলাম। আবদুল্লা শিল্প-বিভাগে মন্ত্রিত্ব করেন। তাঁর অধীনে অনেক মজুর অনেকগুলি কম্বল এবং দেশলাইএর কারখানাতে কাজ কয়ছিল। তাঁর কারখানা এবং মজুরদের কাজ দেখে সন্তুষ্ট হয়েছিলাম, কিন্তু বইএর কোন সন্ধান না পেয়ে