বাড়াব? আমার কোন দাবী নাই সে দেশে। হাঁ, দাবী থাকত এবং থাকবে যদি ইণ্ডিয়া সাম্রাজ্যবাদী হয়। ইণ্ডিয়া সাম্রাজ্যবাদী হবার পূর্বে যদি অন্য কোন বাদ গ্রহণ করে অথবা আমি পৃথিবী হতে বিদায় নেই তবে কে এই পাপঅর্জিত অপর দেশের অপহরণ করা সুখ-সম্পদ ভোগ করবে? কতকগুলি দস্যু এবং জুয়াচ্চোর। আমি তাদের মধ্যে থাকব না। অতএব এখানে তথাকথিত শব্দটি ব্যবহার করলে কোন দোষ নাই।
পূর্বে বলেছি বাবা ভোলানাথের সাহায্য পেয়ে আফগানিস্থানের সব কিছু জানতে পেরেছিলাম। বাবা ভোলানাথ একজন যুবক। যদিও তাঁর বৈদেশিক ডিগ্রী ছিল না অথবা থাকবার কথাও নাই তবুও তিনি একজন শিক্ষিত লোক। যদিও তিনি তখনও বিয়ে করেন নি তবুও তিনি যে বিয়ে করবেন না তার কোনও প্রমাণ ছিল না। সাধারণ গৃহস্থ যেমন করে জীবন কাটায় তিনিও তেমনি জীবন কাটাচ্ছিলেন। অতএব কেউ যেন ভূল করে বাবা ভোলানাথকে, ঠাকুর, শ্রীমা বা সন্ন্যাসী না মনে করেন। যেখানে হিন্দুর খাদ্যের এবং অর্থের প্রাচুর্য রয়েছে সেখানে এসব সং সেজে লাভ কি?
বাবা ভোলানাথের এবং তার সহকর্মীদের সাহায্যে কয়েক দিনের মধ্যেই আমার পা ভাল হয়েছিল। চলাফেরা করার সুযোগ পেয়ে ভেবেছিলাম এবার পৃথিবী ভ্রমণের পথ পরিষ্কার হল, কিন্তু সেই সংগে এটাও ঠিক করলাম, যতদিন আকাশ পরিষ্কার না হবে, যতদিন শীতের প্রবলতা অপসরণ না হবে, ততদিন এই মন্দিরেই থাকব। পথ সুগম হলে বের হওয়া যাবে। খামখেয়ালী প্রকৃতি যেমন শুনবে না, পথও তেমনি সুযোগ সুবিধা দেবে না। ভোলানাথকে পরিষ্কার করে বিষয়টা বুঝিয়ে দেবার পর তিনি বলছিলেন মন্দিরের মধ্যেই তিনি এমনি রকমের আবহাওয়ার সৃষ্টি করবেন যাতে আমার কোনও কষ্ট হবার কারণ থাকবে না। চলাফেরা করার সুযোগ পেয়েই যিনি আমাকে প্রথমদিন স্থান দিয়েছিলেন তাঁর বাড়ীতে যাই। তিনি দুঃখ করে