[ ১১৭ ] হইল, ঐ গৌরব কি আশ্রয়গৌরব অথবা পাণ্ডিত্যগৌরব ? যদি বাস্তবিকই আশ্রয়গৌরব তাহাদিগকে উত্তেজিত করিয়া থাকে তাহ হইলে আমরা এই ভাবিয়া উৎকণ্ঠ দূর করিক ষে প্রভুর পরিতোষার্থ অনন্যশরণ আশ্রিত ভাদৃশ লোক দিগের উচ্চ নীচ ভাব অনুকরণ ও অনুসরণ করার প্রথা বহু দিন হইতেই প্রচলিত আছে। ভজন্য আমরা তাহাদিগকে অনভিজ্ঞ বলিয়া নিন্দ করিতে পারি না। প্রভূবিশেষ ষে অকারণ আমাদিগের মতের প্রতিকূলতাচরণ করিয়া অশাস্ত্রীয় ব্যবহার অপ্রতিহত রাখিতে সষত্ব হইতেছেন ইহা ভাবিয়াও বিশেষ ক্ষতি বোধ করিব না । কারণ ** স্বদেশে পূজ্যতে" ইত্যাদি চানক্যের শ্লোক আমাদিগের সে উৎকণ্ঠ দূর করিবেক। অথবা নিজ গৌরবপ্রদর্শন অনেকের স্বভাবসিদ্ধ। কেহ বা উচিতপক্ষ কেহ বা অনুচিতপক্ষ আশ্রয় করিয়া পদে পদে গৌরব দেখাইয়া থাকেন। • ইহারাও কি সেই প্রকৃতিপরতন্ত্র হইয়া ঐরূপ বহুবচনে জুবিকল প্রতিবিম্বিত হইয়াছেন ? আশ্চর্য্য কি ! স্বভাব অনুল্লঙ্ঘনীয়। যাহা হউক এক্ষণে দেধা আবশ্ব্যক যে রাজসভাসদ কোন পক্ষ আশ্রয় করিয়া এরূপ গৌরবের পথে পদার্পণ করিয়াছেন। ইতি পূর্বে রাজসভাসদের উপর বিশ্বাস ছিল যে রাজসভাসদ নিতান্ত ,অনভিজ্ঞ নহেন, বিবেচনা না করিয়া সহসা কোনও অঙ্কুচিতপক্ষ আশ্রয় করেন না; কোনও বিষরের মীমাংসা করিতে গিয়া একান্ত অপটুতারও পরিচয় দেন না। কিন্তু সংপ্রতি সে বিশ্বাস অনেকাংশে শিথিল হইল। মামনীয় রাজসভাসদ আমান্ননৈবেদ্যের মীমাংসাকালে অকারণ
