[ ১১৮ ] অতীব রোষপরবশ হইয়া ছিলেন । যেহেতু তৎপ্রণীত পুস্তকধানি সবিশেষ পর্য্যালোচনা করিলে সুস্পষ্টই ৰোধ হয় যে, তিনি বাদী নিরস্ত করিয়া স্বপক্ষ সমর্থনে সাতিশয় ব্যগ্র হইয়া, উচিতানুচিত বিবেচনায় এক কালে জলাঞ্জলি দিয়াছেন। যাহা হউক আক্ষেপের বিষয় এই যে এত বিতণ্ডা করিয়াও কিছুমাত্র কৃতার্থতা লাভ করিতে পারেন লাই। উপরোধের পদ্ধতিই এই । আমরা বিশ্বস্তসূত্রে অবগত হইলাম যে পরমদয়ালু রাজসভাসদ আমারনৈবেদ্যোপজীবী কতকগুলি দেবল ব্রাহ্মণের উপজীব্য হানি হয় বলিয়া এইরূপ অধর্ম্মযুদ্ধের পৃষ্ঠপোষক হইয়া আমার উপর অগত্য খড়গহস্ত হইয়াছেন। কিন্তু আমরা এরূপ অযুক্ত কথায় সহসা বিশ্বাস করিতে পারিলাম না। এই পুস্তকে অনুমোদমকারি মহাশয়দিগের এবং ক্রযুক্ত ক্ষেত্রপালস্মৃতিরত্নকে র্যাহারা ব্যবস্থা দিমাছেন। সেই সকল মহাশয়ের মধ্যে অনেকেরই কিছু কিছু পরিচয় যথাস্থলে দেওয়া হইয়াছে। গোকুলচন্দ্র গোস্বামীর পক্ষে আমার প্রতিবাদে একখানি পুস্তক প্রকাশ করা ব্যর্থ হইয়াছে। অধ্যয়ন অধ্যাপনাস্থত্রে র্তাহার সহিত আমার যে প্রকার সম্বন্ধ তাহাতে র্তাহার অকারণ এরূপ অর্থব্যয় করিবার কোমও আবশ্যক ছিল না। তিনি স্বীয় পুস্তকে যে দুই একটি কথা লুিধিয়া আত্মাকে চরিতীর্থ জ্ঞান করিয়াছেন, ঐ কথা গুলি সাক্ষাৎকারে আমাকে বলিলে তাহাকে আর এরূপ অর্থব্যয় ও কায়িক পরিশ্রম স্বীকার করিতে হইও নী। ভালই হউক বা মন্দই হউক কোনও না কোনও একখান পুস্তক প্রচার করিয়া
