পাতা:আমতণ্ডূল নৈবেদ্য দিয়া বিষ্ণুপূজা হইতে পারে কি না এতদ্বিষয়ক বিচার.pdf/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ S७१ ]

  • ষার যে শাস্ত্র কিঞ্চিম্মাত্রও অধীত নয় সে শাস্ত্রেতে তাহার উপদেশ গ্রাহ করিবে না ইহার কথা ।

এক রাজার নিকটে বিপ্রাভাষ নামে এক বৈদ্য থাকে সে চিকিৎসাতে উত্তম তাছার পঞ্চ প্রাপ্তি হইলে পর ঐ রাজ। রামকুমার নামে তাহার পুত্রকে তাহার পিতৃপদে স্থাপিত করিলেন । ঐ ভিষকপুত্র রামকুমার ব্যাকরণ সাহিত্য কিঞ্চিৎ পড়িয়াবুৎপন্ন ছিল কিন্তু বৈদ্যকাদি শাস্ত্র তাহার কিঞ্চিম্মাত্রও পঠিত ছিল না । রাজানুগ্রহে স্বপিতৃপদাভিষিক্ত হওয়াতে রোগীর চিকিৎসার্থে তাহার সন্নিধানে যাওয়া আসা করিতে লাগিল। পরে এক দিবস এক নেত্ররোগী ঐ রামকুমার নামক বৈষ্ঠপুত্রের নিকটে অগসিয়া কছিল, হে বৈদ্যপুত্র ! আক্ষিপীড়ায় অতিশয় পীড়িত আছি, দেখ আমাকে এমন কোন ঔষধ দেও যাহাতে আমার নয়নব্যাধি শীঘ্র উপশম পায়। ৰুগ্ননেত্রের এই বাক্য শ্রবণ করিয়। ঐ চিকিৎসকর্ম্মত অতি বড় এক পুস্তক আনিয়া খুলিয়। একবচনাৰ্দ্ধ দেখিতে পাইল সে বচনাৰ্দ্ধ এই—“নেত্ররোগে সমুৎপন্নে কণেী ছিত্ব কটিং দহেৎ” ইহার অর্থ নেত্ররোগ হইলে নেত্ররোগীর কর্ণদ্বর ছেদন করিয়৷ লৌছ তপ্ত করিয়া তাহার কটিতে দাগ দিবে এই বচনাৰ্দ্ধ পাইয়। ঐ ভিষকৃনন্দন নেত্ররোগীকে কছিল, হে ৰুগ্নাক্ষ । এই প্রতীকারে তোমার ব্যাধি শীঘ্র শান্তি হুইবে যে হেতুক গ্রন্থ মুকুলিত করামাত্রেই এ ব্যাধির ঔষধের প্রমাণ পাওয়৷ গেল, এ বড় সুলক্ষণ । রোগী কছিল সে কি ঔষধ, ভিবক্সন্তান কহিল তুমি শীঘ্র রাটা গিয়া এই প্রয়োগ केंद्र তীক্ষ্ণধার, শাণিত এক ক্ষুর আনিয়া স্বকীয় দুই কর্ণ কাটিয়া সস্তপ্ত লোঁহেতে দুই পাছতে দুই দাগ দেও ; তবে তোমার চক্ষুঃপীড়া আশু শান্ত হইবে। ইহা শুনিয়া ঐ লোচনরোগী আর্ত্তত প্রযুক্ত কিঞ্চিস্থাত্র বিবেচম মা করিয়া তাছাই করিল। , 壽 অনস্তর রোগী এক পীড়োপশমনার্থ চেষ্টাতে অধিক পীড়াদ্বয়ে