[ 34 ] আসিতেছে, সেই সেই স্থানে এবং যথার্থ বিষ্ণুভক্তদিগের বাটতে প্রায়ই বিষ্ণুলৈবেদে আতপতঙুল দেওয়ার প্রথা নাই। কয়েক জন পণ্ডিত ও পণ্ডিতম্বন্য কতিপয় মহাত্মা আমার উপুর অকারণ ঈর্ষাপরতন্ত্র হইয়া শাস্ত্র ও সদাচার বিরুদ্ধবিষয়ে হস্তক্ষেপ করত যে কিরূপ কৃতকার্য্য হইয়াছেন, তাহাও সাধারণের অবিদিত রহিল না । অতএব ভগবদ্ভক্ত বিজ্ঞ মহাত্মাগণের নিকট আমার নিবেদন এই যে অতিপতঙুল অপেক্ষ উপাদেয় মুগ্দাদির নৈবেদ্যদানের সুস্পষ্ট বিধি সত্ত্বে বিচার্য্যস্থলে কেন আতপতঙুল দিয়া সন্দেহে পতিত হওয়া যায়। বিবেচনা করিয়া দেখুন, আতপভঙুলের নৈবেদ্য দিলে মুদগ অপেক্ষ উপাদেয় বস্তু দেওয়া হইল না ; আর আমততুল যদি যথার্থ নিৰিদ্ধ হয়, তাহা হইলে নিষিদ্ধের আচরণ জন্য নরকগামী হইতে হয়। অতএব ধর্ম্ম সম্বন্ধে এবম্বিধ স্থলে অসংশয়িত পক্ষ সত্ত্বে সংশয়াপন্ন পক্ষ অবলম্বন করা কদাচ ধর্ম্মিকের কর্তব্য নহে । r ঐযুক্ত রাজকুমার ন্যায়রত্ন, সভাবাজারীয় রাজসভাসদ, শ্রীগোকুলচন্দ্র গোস্বামী এবং ঐযুক্ত ক্ষেত্রপাল স্থতিরত্ব মহাশয় ইহঁার প্রত্যেকেই আমার প্রতিবাদে এক এক খানি পুস্তক প্রচার করিয়াছেন, কিন্তু আমি প্রতিবক্তব্য স্থলে কোনও ব্যক্তি বিশেষ বা পুস্তক বিশেষের লিখনক্রম অবলম্বন করিয়া মীমাংসা করি নাই। প্রতিপক্ষ হইতে ষে যে বচনু গুলি উদ্ধত করিয়া আমার প্রতি দোষারোপ করা হইয়াছে, তৎসমুদয়ই আমার এই পুস্তকে কোনও না কোনও স্থানে মীমাংসিত হইয়াছে প্রতিবাদী মহাশস্ত্রদিগের নিকট সবিনয়ে নিবেদন এই ষে তাহারা অনুগ্রছ পূর্ব্বক যেন সেই মীমাংসা অনুসন্ধান করিয়া লরেন। আর দেখুন বিষ্ণুপুজা