[ २७० ] ব্যবস্থা গ্রহণে সম্মত হইবেন, এরূপ বোধ হয় না। যাহা হউক “ লোকবিদ্বিষ্ট শাস্ত্রীয় বৰ্মকর্ম্মও আচরণ করিবেঞ্চ ন৷ ” পণ্ডিতের মুখে কেহ কখনও এরূপ বিচিত্র মীমাংসা শ্রবণ করিয়াছেন, এরূপ বোধ হয় না । শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিত হইয়া, নিতান্ত নিরপরাধ, নিতান্ত নিরীহ শাস্ত্রকারদিগের বিষয়ে যেরূপ কুৎসিত অভিপ্রায় প্রকাশ করিয়াছেন, তাহা অদৃষ্টচর অশ্রুতপূর্ব্ব । লোকে শাস্ত্রীয় নিষেধ, ও বিধি উল্লঙ্ঘন করিয়া ষদৃচ্ছাক্রমে, শূদ্রের দেবসেবায় ব্রাহ্মণ দ্বারা পাক করা অন্ত্রের নৈবেদ্য না দিয়া আমভঙুলনৈবেদ্য দিয়া থাকেন তাহা উল্লিখিত সমুদয় শাস্ত্রীয়ৰচনে প্রত্যক্ষসিদ্ধ হইতেছে। এক্ষণে সেই অশাস্ত্রীয় আচার ব্যবহারের দৃষ্টান্ত দ্বারা যদৃচ্ছাপ্ররক্ত আমতকুলনৈবেদ্যকাও এদেশের শাস্ত্র নিষিদ্ধ নয়, অথবা শাস্ত্রকারের স্বার্থপরতা ও যথেচ্ছাচারিতার অনুবর্তী হইয়া শাস্ত্র প্রণয়ন করিয়াছেন ইহা প্রতিপন্ন হইতে পারে না । এ দেশের লোকে, কোনও কালে, কোনও বিষয়ে শাস্ত্রীয় বিধি ও মিষেধ উল্লঙ্গম করিয়া চলেন না ; তাছাদের যাবতীয় ব্যবহার শাস্ত্রীর বিধি ও শাস্ত্রীয় নিষেধ অমুসারে নিয়মিত, যদি ইহা স্থির সিদ্ধান্ত হইত, তাহা হইলে, এদেশের লোকের ব্যবহার দর্শনে, হয়ত যদৃচ্ছাপ্রবৃত্ত আমতুল নৈবেদকাণ্ডু শাস্ত্রনিবিদ্ধ নয় এবং শূদ্রের দেবসেবায় ব্রাহ্মণের দ্বারা পাক করা অমের নৈবেদ্যকাও শাস্ত্রবিহিত নয়, এরূপ সন্দেহ কুরিলে, নিতৃন্তে অনু্যায় হইত না। কিন্তু যখন যাদৃচ্ছিক অম্বিতস্ফুল নৈবেদকেও শাস্ত্রকারদিগের মুভে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং