আমাদের পারিবারিক চিকিৎসক ছিলেন। সবাই বললেন আর একটা এপোপ্লেক্সির ধাক্কা এলে ইনি আর বাঁচবেন না। শেষে ধাক্কা যখন সত্যি সত্যিই এলো তখন মহেন্দ্রলাল সরকার হোমিওপ্যাথিতে দাদাবাবুর চিকিৎসা করছেন। হঠাৎ একদিন দেখি দাদাবাবুর বুক থেকে কি রকম ঘড় ঘড় ঘড় ঘড় শব্দ হচ্ছে আর মুখটা মাঝে মাঝে হাঁ হয়ে যাচ্ছে। ন-মেশোকে বলায় (কৃষ্ণকুমার মিত্র) তিনি দাদাবাবুর বিছানার কাছে এসে ছেলে মানুষের মত কাঁদতে লাগলেন, বড়মামাকে বাড়ীর মধ্যে খবর দেওয়ায় মেয়ে মহলে মড়া কান্নার রোল উঠলো। এই অবস্থায় কয়েক ঘণ্টা থেকে দাদাবাবু মারা গেলেন। আমি সারা রাত সেই ঘরে শুয়ে তাঁর মৃতদেহ আগলে রইলুম। পরদিন সকালে সবাই মিলে দাড়োয়া নদীর বুকে বালুচরে নিয়ে গিয়ে তাঁকে দাহ করা হ’লো। মৃত্যু দেবতা এই দ্বিতীয়বার আমার জীবনে এসে গুরুগম্ভীর পদে উঠান পার হয়ে গেলেন। কবে যে উপরের ছাড়পত্র নিয়ে আমাকেই ডাকতে এসে হাজির হন বলা যায় না।
মেজবৌদির আমাকে দেখে এত ভাল লাগলো যে মেজদা’কে বলে আমাকে একরকম অনিচ্ছাসত্ত্বেও গ্রেপ্তার করে ঢাকা নিয়ে চললেন। এই আামার পূর্ব্ববঙ্গের সঙ্গে প্রথম পরিচয়। ঢাকায় মেজদা’র বাড়ী ছিল কলেজেরই কাছে, ইংরাজী ধরণের বাঙলো প্যাটার্ণের বাড়ীখানি। সামনে গেট দিয়ে ঢুকে একটি মাঠ— সবুজ ঘাসে ঢাকা lawn, তার পরেই দু’ তিন ধাপ উঠে
১২৮