বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:আমার কথা (প্রথম খণ্ড) - বিনোদিনী দাসী.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮
আমার কথা!

বাটী হইতে একবারে আয়েষার পোষাকে সজ্জিত হইয়া আসিআছি বলিয়া ভরসা করিয়া কেহই বলিতেছেন না। এমন সময় বাবু অমৃতলাল বসু আসিয়া অতি আদর করিয়া বলিলেন, “বিনোদ! লক্ষ্মী ভগ্নিটী আমার! আসমানি যে সাজিবে তাহার অসুখ করিয়াছে, তোমায় আজ চালাইয়া দিতে হইবে, নতুবা বড়ই মুস্কিল দেখিতেছি”। যদিও মুখে অনেকবার “না—পারিব না” বলিয়াছিলাম বটে, আর বাস্তবিক সেই নবাব পুত্রীর সাজ ছাড়িয়া তখন দাসীর পোষাক পরিতে হইবে, আবার “আয়েষা সাজিতে অনেক খুঁত হইবে বলিয়া মনে মনে বড় রাগও হইয়াছিল, কিন্তু বিশেষ প্রয়োজন বুঝিয়া তাঁহাদের কথামত কার্য্য করিতে বাধ্য হইলাম। বেঙ্গল থিয়েটারে অভিনয় করিবার সময় “ইংলিসম্যান”, “স্টেটসম্যান” ইত্যাদি কাগজে আমায় কেহ “সাইনোরা”, কেহ কেহ বা “ফাওয়ার অব দি নেটিভ ষ্টেজ” বলিয়া উল্লেখ করিতেন। এখনও আমার পূর্বব বন্ধুদের সহিত সাক্ষাৎ হইলে তাঁহারা বলেন, যে “সাইনোরা” ভাল আছ তো!

 পূর্ব্বেই বলিয়াছি এই থিয়েটারে বঙ্কিমবাবুর “মৃণালিনী” অভিনীত হইত। তাহার অভিনয় যেরূপ হইয়াছিল তাহা বর্ণনাতীত। তখনকার বা এখনকার কোন রঙ্গালয়ে এ পুস্তকের এরূপ অভিনয় বোধহয় কোথাও হয় নাই। এই মৃণালিনীতে হরি বৈষ্ণব—হেমচন্দ্র, কিরণ বাঁড়ুর্য্যে—