পাতা:আমার খাতা - ইন্দিরা দেবী (১৯১২).pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আমার বাল্যজীবন।
১২৫

ধর্ম্মশালায় উঠিয়া গাড়ী করিয়া কঙ্খল দেখিতে রওনা হইলাম। কিছুদিন পূর্ব্বে একবার হরিদ্বারে আসিয়াছিলাম বলিয়া সেখানকার কিছু পুনরায় দেখিয়া বরাবর কঙ্খলেই যাইলাম। কঙ্খলে যখন পৌঁছিলাম তখন অস্তগমনোম্মুখ সূর্য্যের লোহিত কিরণ গঙ্গার স্বচ্ছ সলিলে পড়িয়া বড়ই রমণীয় হইয়াছিল। এইখান হইতে তরঙ্গিণী পর্ব্বতেমালার মেখলা পরিয়া আঁকিয়া বাঁকিয়া সাগর অভিমুখে যাত্রা আরম্ভ করিয়াছে। এইখানে দক্ষযজ্ঞে সতী দেহত্যাগ করিয়াছিলেন। মহাদেবের প্রস্তর মূর্ত্তি ও দক্ষযজ্ঞনাশের সমস্ত দৃশ্য রহিয়াছে অর্থাৎ বীরভদ্র প্রভৃতির প্রস্তর দেহ রহিয়াছে। ঐখানে রাত্রে থাকিয়া পরদিন গাড়ী করিয়া হৃষীকেশে রওনা হইলাম। সকাল বেলায় হৃষীকেশে যাইয়া সেখানকার একটি ধর্ম্মশালায় উঠিলাম। এখানকার ধর্ম্মশালার সুন্দর বন্দোবস্ত, একটি বৃহৎ দ্বিতল অট্টালিকা চারিদিকের চক‍্মিলান দালান এবং যাত্রীদের