পাতা:আমার খাতা - ইন্দিরা দেবী (১৯১২).pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আমার বাল্যজীবন।
১৩১

কৃষ্ণ কংশকে কেশাকর্ষণ করিয়া মারিতেছেন, কংসের কারাগার, কৃষ্ণের সূতিকাগার, প্রভৃতি নানা দৃশ্য এইরূপে চিরস্থায়ী হইয়া আছে। যমুনায় কংশরধ করিয়া যেখানে কৃষ্ণ বিশ্রাম করিয়াছিলেন সেই ঘাটের নাম বিশ্রাম ঘাট। এখানকার পাণ্ডারা বড় অসৎলোক, আমাদের বৃন্দাবন যাইবার কথা শুনিয়া “ব্রজবাসী গলার ফাঁসি” ইত্যাদি বচন আওড়াইয়া ভয় দেখাইল ও নিজে চারি টাকায় মথুরা ও বৃন্দাবন দেখাইবার ফুরণ করিয়া লইল; পরে বৃন্দাবনে যাইয়া আমাদের নূতন লোক দেখিয়া দুই একটি স্থান মাত্র দেখাইয়া ফিরাইয়া আনিতেছিল, তখন একজন ব্রজবাসী আসিয়া মথুরার পাণ্ডার হস্ত হইতে রক্ষা করিল। সে সঙ্গে থাকিয়া বৃন্দাবনের সমস্ত দ্রষ্টব্য দেখাইয়াছিল, তাহার নাম বড় মজার—ছোট-মোট-সাড়ে-তিনভাই। বৃন্দাবনে যাহা যাহা দেখিয়াছি তাহার মধ্যে শেঠেদের ঠাকুরবাড়ী এবং গোবিন্‌জির