পাতা:আমার চিন্তা - অম্বিকাচরণ গুপ্ত.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসীর মৃত্যু। 8○ মাত, সেই পিতা, সেই মাত্মীয় স্বজনদ্বিগের মন না জানি এখন কত অব্যক্ত যাতনায় কাতর হইতেছে । যখন তাহার। আমার মৃত্যু সংবাদ শ্রবণ করিবেন, ধখন তাহারা জানিবেন আমি ইহ ধাম হইতে পলায়ন করিয়াছি, তখন র্তাহার। কিরূপে জীবন ধারণ করিবেন । বৃদ্ধ জনক জননী নিয়ত অশ্রধার। বর্ষণে নয়নের দৃষ্টি হারাইয়। ক্রমিক অনশনে জীবন ত্যাগ করবেন ; প্রিয়তমা অকস্মাৎ এই দুর্ঘটনার সংবাদ প্রাপ্তি মাত্র হয় উদ্বন্ধনে না হয় বিষ ভোজনে আত্মহত্য কৱিবে । তখন শিশু সন্তানটীর দশ। কি হইবে ! আহ। এই সুখের পৃথিবী হইতে বিদায় লইবার সময় একবার সকলের সাক্ষাৎ পাইলাম না । চাক্ষুস প্রত্যক্ষ ব্যতীত দার্শনিকের সুঞ্জির উপর বিশ্বাস নাই । পঞ্চত্বের পরে জীবের যে কি গতি হয়, মানবীয় বুদ্ধি দ্বারা এখনও তাহার কিছুই অবধারিত হয় নাই ; এখন ও সশরীরে এই জীবলীলাস্থল ধরণী:ধামে আছি, পরক্ষণেই যে কি হইব, কোথায় যাইব, ইহার কিছুই স্থির নাই । জগতে কেহই চিরস্থায়ী নয়, কিছু দিন পরে পর । লোকে যে আবার সকলে সম্মিলিত হইব তাহারই প্রমাণ কি ? যদি সে বিষয়ে মনুষ্যের একটা কিছু স্থির জ্ঞান থাকিত তাঙ্গ হইলে মৃত্যুকে এত ভয় হইত না । নিকটে ভূত্য ভিন্ন আর কেহ নাই ; আমার পঞ্চত্বের পরে অত্রস্থ দুই চারি জন পরিচিত লোকে আমার যুত দেহকে অনাথের দ্যায় শ্মশানে লইয়া দগ্ধ করিবে, ন হয় ভাগিরথী মীরে নিক্ষেপ করিবে । আমি কোথায় ! আমার পরিজনগণ কোথায় থাকিবে ; আমার মেদ মাংস কুম্ভীর নক্রাদি জল-জস্তুর ভক্ষ্য হইবে, আমার